চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার হেক্টর কৃষিজমি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইরি-বোরো চাষিরা। খাল খনন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি সংকট নিরসন না হওয়ায় চিন্তিত কৃষক। এবার কৃষক ও স্কিম ম্যানেজারদের সমন্বয়ে ড্রেন খনন করে পানি সেচের প্রক্রিয়া চলছে।
বিএডিসিসহ সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ বলছে, বরাদ্দ সংকুলান হওয়ায় সব মাঠে খাল খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী বছর নতুন প্রকল্প দিয়ে বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। হাজীগঞ্জ উপজেলার পাতানিশ কৃষি মাঠে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের মটর আছে। কিন্তু পরিচালনার অভাবে কৃষকদের ইরি-বোরো চাষাবাদে তেমন কোনো কাজে আসছে না।
সেচের পানির জন্য কৃষকদের অর্থায়নে নিজেরাই ড্রেন খনন করছেন। সময়মতো সেচের পানি না পাওয়ায় শুকনো হয়ে পড়ে আছে জমি। মৌসুমের শুরুতে জমিতে পানি সেচ ধীরগতি হওয়ায় আবাদি জমিতে এখন ঘাস জন্মেছে। আর এসব ঘাস ও খোড়কুটো পরিষ্কার করতে জমিতে ফসল রোপণের সময়ও চলে যাচ্ছে।
স্ক্রিম ম্যানেজার আর কৃষকদের দাবি পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে খালগুলো খনন ও স্থায়ীভাবে ড্রেন পাকাকরণ জরুরি। প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে সেচ প্রকল্পের জটিলতায় ভোগান্তিতে উপজেলার পাতানিশ, বলিয়া, বেলঘর দক্ষিণ, হাড়িয়াইন, লাওকোরা, রাজাপুরা, আকানিয়া, পদুয়া কৃষি মাঠের সহস্রাধিক কৃষক। জেলায় ১৪২টি সেচ পাম্প চালু রয়েছে।
তবে হাটিলা ও পাতানিশ মাঠের এ চাষীদের বৃহত্তর বরাদ্দ ও প্রকল্পের প্রয়োজন বলে জানান বিএডিসির এ কর্মকর্তা। সেচের পানির জন্য কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে খাল সংস্কার করার আশ্বাস দেয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পানি সেচ ব্যবস্থা না থাকায় এই এক হাজার হেক্টরে তিন মৌসুম ফসলি জমিতে এখন দুই মৌসুমি ফসল চাষাবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। এ সমস্যা দ্রুত নিরসন হলে বাড়বে কৃষি শষ্যের উৎপাদন ও কৃষকদের মিলবে স্বস্তি।
মন্তব্য করুন