মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা দুপুর ২টায় শুরু হবে; এমনটি ভেবে ফুরফুরা ছিল ইয়াছিন আহমেদ রাফি। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে বাবা অন্যের মাধ্যমে খোঁজ পান, পরীক্ষা শেষের পথে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে রওনা হন। পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছান দুপুর ১২টায়।
এ কাণ্ডে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা দিতে পারেনি রাফি। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা হয়। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক মো. আবিদুর রহমান জানান, পরীক্ষার্থী রাফি শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামি একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের ছাত্র। রাফি মনে করেছিল পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে। তাই সে সকালে আসেনি।
কেন্দ্র সচিব বলেন, যেহেতু সে ১২টার পর এসেছে তাই নিয়ম অনুযায়ী তার পরীক্ষা নিতে পারিনি। তবে বাংলা প্রথম পত্র ও দ্বিতীয়পত্র মিলে কোনো শিক্ষার্থী যদি ৬৬ নম্বর পায় তাহলে তাকে পাস ধরা হয়। কিন্তু রাফি বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ৬৬ নম্বর পেলেও তাকে পাস ধরা যাবে কি না সেটি শিক্ষা বোর্ড বিষয়টি নীতিমালা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ সে প্রথমপত্রে অনুপস্থিত ছিল।
রাফির বাবা আব্দুল আহাদ জানান, তিনি প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করেন। ছেলের কাছ থেকে জেনেছেন পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে অন্যের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন পরীক্ষা সকালে। এরপর ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছাতে ১২টা বেজে গেছে। কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেননি। বাকি সব বিষয়ের পরীক্ষায় রাফি অংশগ্রহণ করবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্ল্যা বলেন, বিষয়টি জটিল। তবে এটি শিক্ষাবোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
মন্তব্য করুন