নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘রাজনীতিতে উত্তরসূরি হিসেবে কাউকে বিশ্বাস করি না’

নারায়ণগঞ্জে রাইফেল ক্লাব প্রাঙ্গণে বক্তব্য দেন শামীম ওসমান। ছবি : কালবেলা
নারায়ণগঞ্জে রাইফেল ক্লাব প্রাঙ্গণে বক্তব্য দেন শামীম ওসমান। ছবি : কালবেলা

আমি রাজনীতিতে উত্তরসূরি হিসেবে কাউকে বিশ্বাস করি না। রাজনীতিতে উত্তরাধিকার বা পরিবারতন্ত্র আমি ওইটা করতে চাই না। সব জায়গায় ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে চাই বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাইফেল ক্লাব প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখানে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আছেন। অনেক প্রবীণ নেতা। ফতুল্লা থানা কমিটি যখন হয়েছে ওনারা আমাকে কমিটি দেখাতে এসেছিলেন। আমি আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে বলতে চাই, ওই কমিটি আমি দেখি নাই। শুধু শুনেছি ওই কমিটিতে আমার, আমার ছেলের এবং আমার স্ত্রীর নাম দেওয়া হয়েছে। আমার এবং তাদের নাম কমিটি থেকে কেটে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। সেটা কেটে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, আমি মনে করি আমার সন্তান আমার স্ত্রী আমার পরিবার হিসেবে তাদের কোনো পদ দরকার নেই। ওইখানে একটা ত্যাগী নেতাকে যদি দেওয়া হয়। সেই ত্যাগী নেতাটা খুশি হবে। সেটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া হবে।

শামীম ওসমান বলেন, এবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমেই বলেছি নারায়ণগঞ্জের সমস্যাগুলো সমাধান করব। সম্ভবত এটাই আমার শেষ নির্বাচন। আমরা মানুষের সেবা করতে এসেছি। আমরা মানুষের সেবা করি।

তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে সাংবাদিকরা হকার সমস্যা, যানজটের সমস্যা, রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চলাচল বন্ধের বিষয়ে একটা উদ্যোগ নিয়েছিল। উদ্যোগটা ভালো উদ্যোগ ছিল। এ বিষয় নিয়ে আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান ও আমার বোন মেয়র আইভী একসঙ্গে বসেছি। এই সমস্যা সমাধানে মেয়র আইভী আমার কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। যেহেতু সহযোগিতা চেয়েছে, আমার দায়িত্ব হচ্ছে সহযোগিতা করা।

হকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে হকার ভাইদের আমি বলতে চাই, আমি গরিব মানুষের পক্ষে ছিলাম, আছি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকব। এ ব্যাপারে কোনো কথা নেই। কিন্তু এভাবে প্রতিদিন চলতে পারে না। আমি দেখেছি হকাররা বিনা পয়সায় বসে না। মীর জুমলা রোডে প্রতিদিন ছোট চৌকি ৩ বার ভাড়া দেয় ২৪শ টাকা। আর বড় চৌকি ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা। এ টাকা কে পায়। আমরা বা সিটি করপোরেশন পায় না। এ টাকা পায় চাঁদাবাজরা। কিছু চাঁদাবাজের জন্যই আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে কেন অশান্তিতে রাখব। প্রত্যেক জায়গায় হকারদের চাঁদাবাজদের টাকা দিতে হয়। যদি টাকা দিতে না হতো তাহলে আমি তাদের পক্ষে থাকতাম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ , সমুদ্রবন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত 

থেঁতলানো মুখ, হাত বিচ্ছিন্ন ও পেটকাটা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার

বিএনপিতে যোগ দিলেন আ.লীগের ২ শতাধিক নেতাকর্মী

আরও ৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

বিএনপির ৯ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

গুলিতে ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম নিহত

সমুদ্রের নিচের ভূমিকম্পে বাংলাদেশে সুনামির ঝুঁকি কতটা?

ভেনেজুয়েলার মাটিতে শিগগিরই ‘যুদ্ধ শুরুর’ ঘোষণা ট্রাম্পের

বিপিএলের কোন ইভেন্ট কোথায়, কবে

দুর্নীতিতে আমাদের অভিজ্ঞতা নাই : জামায়াত আমির

১০

রিয়ার সহজ স্বীকারোক্তি

১১

ভূগর্ভস্থ ফাটলরেখা বা ফল্টলাইন কী, ভূমিকম্পের সঙ্গে এর সম্পর্ক কী?

১২

‘দল তৈরি করতে পারে কোচ, কিন্তু খেলতে হবে খেলোয়াড়দেরই’

১৩

সরবরাহ বাড়লেও কমছে না সবজির দাম

১৪

বাংলাদেশে পাটভিত্তিক উৎপাদনে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী চীন

১৫

আইবিএর পরীক্ষা দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ঢাবির ভর্তিযুদ্ধ

১৬

টঙ্গীতে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু

১৭

কারাগারে অসুস্থ আ.লীগ নেতার মৃত্যু

১৮

বিপিএল: একের পর এক চমক ঢাকার, এবার দিল নতুন ঘোষণা

১৯

জুমার দিন মসজিদে গিয়ে ভুলেও যে ২ কাজ করবেন না

২০
X