দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচনী সহিংসতায় আহত তুফান ফকিরের মৃত্যু

দৌলতপুর থানা, কুষ্টিয়া। ছবি : সংগৃহীত
দৌলতপুর থানা, কুষ্টিয়া। ছবি : সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় বোমা বিস্ফোরণে আহত তুফান ফকিরের (৪৮) মৃত্যু হয়েছে। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তুফান ফকির উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত ইয়ানবী ফকিরের ছেলে।

এদিকে তুফান ফকিরের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজন স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের বাড়িসহ অন্তত ৬টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ভয়ে প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে প্রতিপক্ষের বাড়িগুলো।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রহিম ফকির ও আনোয়ার হোসেন পরস্পরের আত্মীয়। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পরদিন সকালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের সমর্থক রহিম ফকিরের ভাই তুফান ফকির ও তার লোকজনদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমার বিস্ফোরণ ও আগুনে দগ্ধ হয়ে তুফান ফকির গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক মাস ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে তার মৃত্যু হয়।

তুফান ফকিরের মৃত্যুর বিষয়ে পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সোহেল রানা বুলবুল বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুফান ফকিরের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় যারা দোষী তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তিনি। একইসাথে এলাকার নিরপরাধ লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান তিনি।

হামলায় মৃত্যুর ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, নির্বাচনের পরদিন সকালে সহিংসতায় আহত তুফান ফকির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অতিরিক্ত ৪ ডিআইজিকে বদলি

ডালাস মাতাল নগর বাউল জেমস

‘ঘটনাস্থলে না থেকেও’ হত্যা মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা

নতুন কোচ পেল ইতালি!

ট্রাম্পের আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পরই ঘুরে গেল দৃশ্যপট

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ

ধূমপায়ীরা যে টোটকায় ফুসফুস পরিষ্কার করতে পারেন

জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: প্রেস উইং

‘ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কোটি টাকার বৃষ্টি, কার পকেটে কত গেল?

১০

আন্দোলন চলবে, চালু থাকবে নাগরিক সেবা: ইশরাক

১১

একযোগে ইসরায়েলে দুদেশের মিসাইল হামলা

১২

ইরানের দুঃসময়ে পাশে এল কাতার

১৩

হাজার মাইল উড়ে ফিরে এলেন ইসরায়েলি নারী পাইলট

১৪

যুবলীগ থেকে গণঅধিকার পরিষদ-বিএনপি এখন তিনি এনসিপিতে

১৫

আল আহলির বিপক্ষে ড্র দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু মেসিদের

১৬

যুদ্ধের কারণে ইরানে আটকে গেছেন ইন্টার মিলান তারকা

১৭

ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে

১৮

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নবায়নে বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ

১৯

কন্যাসন্তান হওয়ায় মিষ্টির প্যাকেটে ইটের গুঁড়া দিলেন জামাই

২০
X