চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল আলম মিন্টুর (৩৮) গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে নগরের দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের দুই নম্বর সাইট এলাকার নিজের বাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জাহিদুল আলম মিন্টু চট্টগ্রাম নগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে চাকরি করেন। ছোট ছেলে এখনও পড়ালেখা করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার পরিদর্শক (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার। কালবেলাকে তিনি বলেন, রোববার বিকেল ৫টার দিকে জাহিদুল আলম মিন্টু নিজের বাসায় আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করি। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে যান। যেখানে তিনি কয়েক লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন।
চিরকুটে লেখা ছিল, তার ছয় লাখ টাকা দেনা আছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। মৃত্যুর আগে চিরকুটটি নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মুড়িয়ে রেখেছিলেন জাহিদুল আলম মিন্টু।
উদ্ধার হওয়া চিরকুটে আরও কী লেখা ছিল জানতে চাইলে ওসি মনজুর কাদের মজুমদার কালবেলাকে বলেন, তিনি স্থানীয় একটি মসজিদ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। সেখানের কিছু টাকা জরুরি প্রয়োজনে খরচ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাকে কেউ টাকার বিষয়ে কোনো চাপ দেননি। তাও তার মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই টাকা পরিশোধের জন্য তার সামর্থ্য নেই। এই জন্য তিনি পরিবার, আত্মীয়সজন, বন্ধুবান্ধব, মসজিদ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
চিরকুটের ব্যাপরটি কতটুকু সত্য এই বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান ওসি। তিনি বলেন, পরিবারের অনুরোধে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বিনা ময়নাতদন্তে দাফন করা হবে।
মন্তব্য করুন