যশোরের মণিরামপুরে নদীর পাশে মাটি খননের সময় প্রায় ১০ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের তৈরি কৃষ্ণ মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে মূর্তিটি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের কুন্ডুপাড়া এলাকা থেকে দুই পা-বিহীন এ মূর্তিটি উদ্ধার হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বারপাড়া গ্রামের কঙ্কন কুমার কুন্ডু মুক্তেশ্বরী নদীর পাশে ঘাসফড়িং এগ্রো নামে একটি মুরগির ফার্ম নির্মাণ করছেন। প্রায় এক মাস আগে ফার্মের ভেতরে গর্ত ভরাটের জন্য নদীর পাশ থেকে মাটি কাটা হয়েছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খামারের সেই মাটি সমান করতে গিয়ে বাবুল হোসেন নামে এক শ্রমিক একটি মূর্তি দেখতে পান। কিসের মূর্তি না বুঝতে পেরে বাবুল সেটি কঙ্কন কুন্ডুর চাচা গৌতম কুন্ডুর কাছে দিয়ে দেন। পরে মূর্তিটি মন্দিরে রেখে পূজাও করেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
গৌতম কুন্ডু জানান, উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি শ্রী কৃষ্ণ ঠাকুরের। দুই পা-বিহীন মূর্তিটির ওজন প্রায় ১০ কেজি। তার ভাইপো কঙ্কন যশোরে ব্যবসা করেন। খবর পেয়ে কঙ্কন বাড়িতে এসে মূর্তিটি দেখে জানান এটি কষ্টি পাথরের।
যেখানে মূর্তিটি পাওয়া গেছে ওই স্থানে ব্রিটিশ আমলে পূজা হতো। পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হতো মুক্তশ্বেরী নদীতে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি ওই সময়কার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কঙ্কন কুমার কুন্ডু বলেন, সোমবার বিকেলে স্ত্রী ও চাচা গৌতম কুন্ডুকে সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে কৃষ্ণ ঠাকুরের মূর্তিটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, মূর্তিটি কষ্টি পাথরের কি না সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটির প্রত্নতাত্ত্বিক ভ্যালু রয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন