মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার সুপারবোর্ড কারখানার আগুন নেভানোর কাজ আগামীকাল সমাপ্ত করবে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (২৫ মার্চ) গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক কালবেলাকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন আর আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। কারখানায় পাটখড়ি ও কাঠ থাকায় পুরোপুরি নেভানো যায়নি। আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আজ সারারাত আগুন নেভাতে কাজ করতে হবে। গোডাউনটি পুরোপুরি পরিষ্কার করার পর আগামীকাল আমরা সমাপ্ত ঘোষণা করতে পারব। এখনো আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত গজারিয়া, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভাতে টানা কাজ করেছে। দৃশ্যমান আগুন নেভে গেছে। তবে গুদামের মজুদ করা পাঠখড়ি ও প্লাইবোর্ডে আগুনের ফুলকি রয়েছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, পাঠখড়ি ও প্লাইবোর্ডের উপরের স্তরে স্তরে ফুলকি আছে। পানি ছিটিয়ে মালামাল সরানো হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি এখনো জানা যায়নি।
আগুনের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট মো. মাসুদুল আলম বলেন, ইউএনও, গজারিয়া থানার ওসি,ফায়ার সার্ভিসের একজন অফিসারও এ কমিটিতে রয়েছে। কেন, কীভাবে আগুন লাগল এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আগুন লাগার কারণ বলা যাবে।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের সিকিরগাঁও এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে সুপার ফর্মিকা অ্যান্ড লমিনেশন (সুপারবোর্ড) কারখানার গোডাউনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন