বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের অপচেষ্টা ও হামলার অভিযোগের মামলায় ৭ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দ্রুত বিচার আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ এ আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আদালতের দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা প্রেস ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার, সাংবাদিক মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা চালায় স্বার্থান্বেষী মহল।
মামলায় আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনায় বরগুনা প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক সোহেল হাফিজ, সাংবাদিক ফেরদৌস খান ইমন এবং সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ সাতজন সংবাদকর্মী আহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আদালতে আসামিরা হাজির হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, পৌর শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের মৃত. নজরুল শরীফের ছেলে সাংবাদিক মুশফিকুল ইসলাম (মুশফিক আরিফ), পাথরঘাটা উপজেলার বাঁশতলা নাসনা পাড়া গ্রামের হামিদ মোল্লার ছেলে সাংবাদিক এম হারুন অর রশিদ রিংকু, বরগুনা সদরের খাজুরতলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে সগীর হোসেন, বরগুনা সদরের পাজরাভাঙ্গা গ্রামের মাহবুব আলম শরীফের ছেলে সাংবাদিক শাজনুস শরীফ, বরগুনা পৌরসভার আব্দুল কাদের সড়কের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে আল-আমিন, পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ রূপদোনের গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে সাংবাদিক জাফরুল হাসান রুহান (রুদ্র রুহান) ও বরগুনা পৌরসভার থানা পাড়ার মোশাররফ খানের ছেলে রাকিবুল হাসান রাজন খান।
বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. গোলাম মোস্তফা কাদের ও আসামি পক্ষে অ্যাড. ছিলেন একেএম অ্যাড. এ কে এম শফিকুল ইসলাম নেছার।
বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রেস ক্লাব কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার ১ নম্বর আসামি সাংবাদিক মাসুদ তালুকদার। এই স্বাভাবিক মৃত্যুকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হত্যা মামলা দায়ের করে স্বার্থান্বেষী মহলটি। এছাড়াও প্রেসক্লাবের প্যাড ও লোগো ব্যবহার করে আসামিরাসহ বাইরের কিছু তথাকথিত সাংবাদিকদের নিয়ে বরগুনা প্রেস ক্লাবের নামে একটি ভুয়া কমিটির ঘোষণা করে।
মন্তব্য করুন