রংপুরের পীরগঞ্জে দেহব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে বাড়ির মালিক, খদ্দের ও পতিতাসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে পাঁচজন নারী রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে পীরগঞ্জ পৌরসভাস্থ প্ৰজাপাড়া (পালপাড়া) ও মদনখালী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার ইসমতারা সুমি (২০), ঢাকার নবাবগঞ্জের সানজিদা আক্তার ইতি (২৪), মুন্সীগঞ্জের সুমাইয়া আক্তার (২০), পীরগঞ্জের রায়পুর ইউনিয়নের শ্যামলী খাতুন (৩২) এবং তার স্বামী দুলু মিয়া (৪০), ফতেহপুর ফকিরা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৭), রামনাথপুর ইউনিয়নের রশিদুল ইসলাম (২৮) ও শিহাব মিয়া (২১), পীরগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তম চন্দ্ৰ পাল (২৭), সর্দারপাড়া মহল্লার স্বপন হাসান (৩৫), মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার জেসমিন আক্তার (২৩) এবং পীরগঞ্জের খয়েরবাড়ি গ্রামের মনোয়ার হোসেন (৫০)।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, পীরগঞ্জ পৌরসভাস্থ প্ৰজাপাড়ায় দুলু মিয়ার (পালপাড়া) ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ (দেহব্যবসা) চলছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েদের নিয়ে এসে খদ্দের ডেকে ওই বাড়িতে চলছিল রমরমা দেহব্যবসা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুলু মিয়া ও তার স্ত্রীসহ দশজনকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া অপর এক অভিযানে পীরগঞ্জ থানাধীন ৫নং মদনখালী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি গ্রাম থেকে বাড়ির মালিক মনোয়ার হোসেন ও এক নারীকে আটক করা হয়। ওই দুজনও দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার দায়ে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। দেহব্যবসা, মাদক, জুয়াসহ অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন