আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দিনে-দুপুরে লোকালয়ে বন্যহাতি, জনমনে আতঙ্ক

লোকালয়ে ঘুরাঘুরি করছে বন্যহাতি। ছবি : কালবেলা
লোকালয়ে ঘুরাঘুরি করছে বন্যহাতি। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় খাবারের সন্ধানে দিনে-দুপুরে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে দুটি বন্যহাতি। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বটতলী, বরুমচড়া, হাজিগাঁও, হাইলধর, বারখাইন ইউনিয়ন এলাকায় হাতি দুটি ঘুরে বেড়ায়।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারার দেয়াং পাহাড়ে ৩টি বন্যহাতি আট বছর ধরে বসবাস করছে। এ হাতিগুলো মাঝেমধ্যে বাঁশখালী পাহাড়েও যাতায়াত করে। সোমবার চন্দনাইশ পাহাড় থেকে নতুন করে আরও দুটি হাতি এসে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই হাতি দুটিও দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান করছে।

পূর্ব বটতলী গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আবছার বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুটি হাতি পূর্ব বটতলী কাটা পাহাড় এলাকায় মানুষের বাড়িঘরে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা নানা কৌশলে তাদের পাহাড়ের দিকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। হাতিগুলো ফসলের ক্ষতি করলেও মানুষ নিরাপদে ছিল।

বটতলী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী বলেন, দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান করা ৩টি হাতির অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। ৩টি হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন লোক মারাও গেছেন। সেখানে আরও দুটি হাতি নতুন করে এসেছে শুনেছি। বনবিভাগ জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে জানমালের ক্ষতি হতে পারে।

বন বিভাগের বাঁশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ কালবেলাকে বলেন, পাহাড় থেকে হাতি তাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। পাহাড়ে গাছ নিধন ও পাহাড় কাটার কারণে খাবারের সন্ধানে হাতিগুলো লোকালয়ে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, বন বিভাগের লোকজন সেখানে অবস্থান করছে। বন্যহাতি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে। তবে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যার পর মশাল জ্বালালে হাতিগুলো গভীর বনে চলে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

নির্বাচনের তপশিল নিয়ে সভা রোববার

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১২০ চিকিৎসক

ছেলেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই চলে গেলেন গুম হওয়া ছাত্রদল নেতার বাবা

পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির মতবিনিময় / সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনসহ ৯ দাবি

‘এনসিপি সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’

নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

শিক্ষক সমাজই হচ্ছে একটি জাতির ভিত্তি : মান্নান

কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

১০

কড়াইলের দুর্গতদের পাশে আনসার-ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত

১১

স্টার্কের দাপটে ব্রিসবেনে হারের পথে ইংল্যান্ড

১২

নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ‘রোকেয়া রান’ অনুষ্ঠিত

১৩

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৪

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

১৫

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

১৬

বাংলাদেশে আর কারও দাদাগিরি চলবে না : ডা. শফিকুর রহমান

১৭

যেভাবে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি

১৮

আইপিএল নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য দুঃসংবাদ

১৯

রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

২০
X