বগুড়ায় পুলিশের ওপর ককটেল হামলার ঘটনায় যুবদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ হামলায় বগুড়া সদর থানাধীন উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রশিদ ও কনস্টেবল মাহবুব হোসেন আহত হন। ককটেলের আঘাতে তাদের দুজনেরই পা ও মুখে জখম হয়। ঘটনার পর দিন শুক্রবার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাজু হোসেন, রিকি রহমান রুকু, দুলাল হোসেন মণ্ডল এবং কবির আকন্দ। চারজনের মধ্যে কবির আকন্দ এজাহারভুক্ত এবং অন্য তিনজন সন্দেহভাজন আসামি।
আহত কনস্টেবল মাহবুব হোসেন জানান, শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার (ঘোনপাড়া) একজন নারী জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানান তাকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। এ খবর পেয়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রশিদ তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় এক যুবক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে আটক করতে গেলে ওই যুবকের সঙ্গে থাকা আরও দুই যুবক পুলিশের ওপর পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। তাদের নিক্ষেপ করা ককটেলের আঘাতে তিনি ও এএসআই রশিদ আহত হন। পরে তাদের দুজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বগুড়া শহর যুবদলের আহ্বায়ক আহসান হাবিব মমি জানান, গ্রেপ্তারকৃত চারজনের মধ্যে সাজু হোসেন বগুড়া শহর যুবদলের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব এবং অন্যরা যুবদল কর্মী। সাজুসহ তিনজনের নাম এজাহারে নেই, তারপরও পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার করেছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন