নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যখন কলেজের ভিপি ছিলাম তখন অনেক পাওয়ারফুল ছিলাম : শামীম ওসমান

নিতাইগঞ্জে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ভালো'র অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন শামীম ওসমান। ছবি : কালবেলা
নিতাইগঞ্জে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ভালো'র অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন শামীম ওসমান। ছবি : কালবেলা

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি যখন তোলারাম কলেজের ভিপি ছিলাম তখন প্রচুর পাওয়ারফুল ছিলাম। এখনকার দশটা এমপির চেয়েও পাওয়ার বেশি ছিল সে সময়। তবুও নয়শ টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি। আমার বড় ভাই একজনের বাড়িতে গিয়েছিলেন নয়শ টাকার জন্য, নাম বলছি না৷ তারা সেদিন বলেছিল বন্ধক রাখার মতো কিছু কী আছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ভালো'র অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, তখন জীবন কানাই চক্রবর্তী স্যার আমার ফরম পূরণ করে দিয়েছিলেন। আমার সইয়ে হাজারও ছেলের ফরম পূরণ হয়েছে, কিন্তু আমি আমারটা করিনি। এটাই ছিল নৈতিকতা। এখনো এই নৈতিকতা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। এখন চারদিকে এত খাই খাই, মনে হয় মানচিত্র খেয়ে ফেলবে।

তিনি বলেন, টাকার অভাবে চিকিৎসা না হওয়ার কষ্ট আমি ভোগ করেছি। ২০০১ সালের পর আমেরিকা ছিলাম যখন তখন আমি আমার মেয়ের জন্য এন্টিবায়োটিক কিনতে পারিনি। আমাদের দিন অনেক কঠিনভাবে গেছে। আমাদের বড় বড় নেতা ও আত্মীয় ছিল। তারা এগিয়ে আসেননি।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে চারদিকে যুদ্ধ। বড় দেশগুলো যদি বলে আগামী দুই বছর আমরা কোনো অস্ত্র বানাব না। যদি তিন বছরের জন্য ওরা বলত আমরা অস্ত্র তৈরি করব না তাহলে পৃথিবীর একটা মানুষকেও না খেয়ে থাকতে হবে না। আশা করি, পৃথিবীর বড় বড় নেতাদের এই সেন্সটা হবে। পৃথিবীর মানুষগুলো ভালো থাকবে।

শামীম ওসমান বলেন, আমাদের ছোট্ট এই দেশে সতেরো কোটি মানুষ না হয়ে যদি কম হতো তাহলে আমরা ঘরে বসে খেতে পারতাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো আছি। জনসংখ্যা বেশি সেটাই আমাদের জন্য এখন শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আমরা যাদের দান করছি মনে হয় বিশাল ভালো কাজ করেছি। এটা ভালো কাজ ঠিকই; তবে তারচেয়ে বড় হলো যে সুযোগ দিচ্ছে। তৃষ্ণার্তকে পানি পান করালেন, যে তৃষ্ণার্ত আপনার পানি পান করল সেটা বড় বিষয়। সে যে দোয়া করবে সেটা সরাসরি আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যাবে। দান করে দোয়া চাইতে হয় না। যাকে দান করবেন সে যখন ভাববে তার উপকার হয়েছে তখন এটার গুরুত্ব বেশি।

তিনি আরও বলেন, এই পৃথিবী আপনাকে কিছু দেবে না৷ দরকার আপনার শেষ ঠিকানায়। সত্য হলো আমাদের যেতে হবে। আমি এটা মানি। তাই প্রতি রাতে তওবা ও নামাজ পড়ে ঘুমাই। কারণ কালকে আমি বাঁচব কি না জানি না। আমরা প্রত্যাশা নামে একটি সংগঠন করেছি। গরমের জন্য এটা আটকে আছে। তবে গরম কমলেই আমরা প্রতিটি এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা আ.লীগের দোসর : সেলিম ভূঁইয়া

চাল বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫

ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩০

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা

হঠাৎ কেন বাড়ছে ট্রেন দুর্ঘটনা?

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সবজি বিক্রেতা খুন

উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিলেও প্রার্থীদের সমর্থন জানাবে বিএসপি

সকাল ৯টার মধ্যে ঝড়ের শঙ্কা

সিএনজি ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

১০

বাবার ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টার উড়িয়ে কনের বাড়িতে বর

১১

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ল রং-বেরঙের ঘুড়ি

১২

যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম ইসরায়েলের

১৩

বাবার কোলে চিরনিদ্রায় সেই পেট জোড়া লাগানো জমজ শিশু

১৪

‘চাঁদপুরের ইলিশ বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে তাই আমিও পছন্দ করি’

১৫

ভুয়া নিয়োগপত্রে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন শিবলু, অতঃপর...

১৬

গাজায় ‘জয়ী’ হতে না পেরে অন্যত্র দৃষ্টি ইসরায়েলের

১৭

শুভ্রতার প্রতীক মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার আট মিনারবিশিষ্ট নান্দনিক মসজিদ

১৮

হাসপাতাল নয়, যেন তেলাপোকার বসতঘর

১৯

বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নৌকাখচিত চেয়ার উপহার দিতে চান হিরু কারিগর

২০
*/ ?>
X