আসন্ন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জাতীয় পার্টি নেতা মাকসুদ হোসেনকে ২৪ ঘণ্টার ভিতর কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন ও বন্দর উপজেলার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা অফিসার কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ শোকজ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে মো. মাকসুদ হোসেন আপনার নির্বাচনী এলাকার অলিগলিতে শত শত পোস্টার অবৈধভাবে বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটিয়েছেন। এছাড়াও অনুমতি ব্যতীত অবৈধভাবে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করেছেন যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৮ এবং বিধি ১২ এর পরিপন্থি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায়, উক্ত বিধিমালার বিধি ৮ এবং বিধি ১২ ভঙ্গের দায়ে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রার্থিতা বাতিলের জন্য পত্র প্রেরণ করা হবে।
বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসানসহ মোট চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ৮ মে বন্দর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৫৪টি ভোটকেন্দ্রে বন্দর উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ৫০০ জন; নারী ভোটার ৬৪ হাজার ৬২ জন এবং হিজড়া ভোটার ২ জন।
মন্তব্য করুন