যমুনা পাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। কয়েক দিন ধরেই জেলার দুটি আবহাওয়া স্টেশনে স্মরণকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। তীব্র গরমের পাশাপাশি প্রচণ্ড রোদে নিম্নআয়ের কর্মজীবী মানুষগুলোর প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। অনেকেই হিটস্ট্রোকের ভয়ে কাজে বের হচ্ছেন না। কাজ করতে না পারায় ওইসব শ্রমজীবী মানুষকে ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) শহরের বাজার স্টেশন, রেলগেট, সদর উপজেলার শিয়ালকোলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় রিকশা শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক ও নির্মাণশ্রমিকের সঙ্গে। নিম্নআয়ের শ্রমজীবী এসব মানুষ বলছেন, গরম সহ্য হয় না, তারপরও আমাদের কাজ করতেই হবে। কাজ না করলে সংসার চলবে না।
সত্তরোর্ধ্ব বয়সী রিকশাচালক হাসমত আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে যে গরম পড়েছে আমার জীবনে এত গরম কখনো দেখিনি।
কামরুল, হায়দার, শহীদুলসহ বেশ কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক বলেন, আধা ঘণ্টা কাজ করার পর ফ্যানের নিচে গিয়ে জিরিয়ে নিতে হচ্ছে। নইলে আমরা কাজ করতে পারব না, মালিককে সেভাবেই বলে নিয়েছি।
এদিকে তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিস ও শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই একইভাবে রয়েছে তাপমাত্রা। তাড়াশে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবারই একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। অপর দিকে শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি স্টেশনে শুক্রবার ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাড়াশ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। আরও এক সপ্তাহ এই অবস্থা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাঘাবাড়ি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বাঘাবাড়িতে শুক্রবার এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার কিছুটা কমে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে নেমেছে।
মন্তব্য করুন