এপ্রিলের প্রথম দিন থেকেই ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২৯ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে রেকর্ড হয়েছিল। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে।
এদিকে তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে রিকশাচালক, কুলি ও নিম্ন আয়ের দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। গরমের তীব্রতায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদে ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে।
গত কয়েক দিনের দাবদাহে শহরের পোস্ট অফিস মোড় সংলগ্ন ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন গলে যেতে শুরু করেছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চাকায় পিচ আটকে যাচ্ছে। ফলে চালকরা ধীরগতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন।
তীব্র খরায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে উপজেলাজুড়ে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পৌরসভার পানি বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী প্রবীর বিশ্বাস বলেন, সাপ্লাই লাইনে পানি সরবরাহের জন্য সবকটি মেশিন চালিয়েও পানি সরবরাহ করতে কষ্ট হচ্ছে। খরা মৌসুমের শুরুতেই এবারে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে।
তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। গরমের তীব্রতায় পানিশূন্যতায়ও অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমে রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোকসমাগম কমে গেছে। জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের প্রখরতায় রাস্তার পিচ তপ্ত উষ্ণতা ছড়াচ্ছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পারদের কাঁটা তীব্র তাপপ্রবাহ ছুঁয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ মাত্রা ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন