ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জালিয়াতি করে জনপ্রতিনিধিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

উপজেলা পরিষদ। ছবি : কালবেলা
উপজেলা পরিষদ। ছবি : কালবেলা

জামালপুরের ইসলামপুরে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কো-অর্ডিনেটরদের সম্মানী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহারের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গত ২০২০ সালে মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ মোট ১৩টি ক্লাব স্থাপন করা হয়। পরে ক্লাবগুলো তদারকির জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের একজন করে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের জন্য প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা সম্মানী ভাতা বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে কো-অর্ডিনেটরদের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্বে থাকা সংরক্ষিত ইউপি সদস্যদের মাঝে বিতরণ দেখানো হয়। তবে সেই টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন দায়িত্ব থাকা কো-অর্ডিনেটররা।

পাথর্শী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য নাসিমা বেগম বলেন, আমি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের দায়িত্বে আছি এটা শুনেছি। ইতোপূর্বে আমি কোনো টাকা পয়সা পায়নি।

রোববার (৫ মে) আমার স্বামীর কাছে রশিদ নামে একজন ৬ হাজার টাকা দিয়েছে। তার নামে ১২ হাজার টাকা বিতরণ দেখানো হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নামে কত টাকা বিতরণ দেখানো হয়েছে এটা আমি জানি না।

চরগোয়ালিনি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত সদস্য রুসনাই বেগম বলেন, আমাকে চলতি মাসের ১ তারিখে ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছে। আমার নামে কত বরাদ্দ সেটা আমি জানি না। টাকা দেওয়ার কথা ছিল গত দেড় বছর আগে।

রেজিস্ট্রার আমার স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করেছিল, আর সাংবাদিকদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে আট দিন আগে বরাদ্দের অর্ধেক টাকা পেয়েছি। অবশিষ্ট টাকা পেতে আজ অফিসে এসেছি। সরকারি কর্মকর্তারা যদি স্বাক্ষর জাল করে জনপ্রতিনিধিদের টাকা আত্মসাৎ করে, তবে সাধারণ মানুষ এদের কাছ থেকে কতটুকু নিরাপদ সহযোগিতা কামনা করতে পারে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

এ সময় কথা হয় বর্তমান সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মুনজুরা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি কয়েক দিন মহিলাবিষয়ক অফিসে গেছি এই টাকার জন্য। তারা বলছে বরাদ্দ আসেনি এলে পাবেন। গত দুদিন আগে আমাকে ইসলামপুর বাজারে ডেকে নিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছে। আমার নামে ১২ হাজার টাকা বিতরণ দেখানো হয়েছে এটা আমি জানি না।

বিতরণকৃত টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার বলেন, আমি আমার অফিস স্টাফকে টাকা বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। বিতরণ করে আমাকে রেজিস্ট্রার দিয়েছে আমি তাতে স্বাক্ষর করেছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটররা টাকা পেয়েছে কি না জানি না। তবে তাদের ডেকে বিষয়টি শুনব।

এ ব্যাপারে ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। এরকম অনিয়ম হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ দুর্গাপূজা উদযাপন

কারখানায় কাজ বন্ধ, মহাসড়কে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিক্ষোভ

বিশ্বকাপের ম্যাচেও হাত মেলাননি ভারত ও পাকিস্তান অধিনায়ক

আ.লীগের সাবেক এমপি মোজাম্মেল হক গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

‘ধর্ম অবমাননা’ : সেই অপূর্ব পালকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ

বিসিবি নির্বাচন পেছানোসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি

১০

রাতে খাওয়া বন্ধ করলে কি ওজন কমে? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

১১

ইন্টার ইউনিভার্সিটি বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

১২

আশিয়ান সিটিতে ৬ দিনব্যাপী ‘শরৎ উৎসব’

১৩

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়

১৪

১৩ সেকেন্ডেই লন্ডভন্ড পাঁচ গ্রাম

১৫

বিজয়ের কারণেই কি ভেঙেছিল রাশমিকা-রক্ষিতের বিয়ে?

১৬

শেষ টি-টোয়েন্টিতে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ

১৭

নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র হামদুল্লাহ রাইয়ানের সন্ধান চায় পরিবার

১৮

বিস্ফোরক আইনের মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ২২ জনকে অব্যাহতি

১৯

প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি কর্মীর পাশে পারভেজ মল্লিক

২০
X