বাজারে হঠাৎ বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ। এক-দুদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সঙ্গে ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজেরও। ঊর্ধ্বগতির বাজারে কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজের বাড়তি ঝাঁজে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।
শনিবার (১৬ আগস্ট) জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভা কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দু-তিন মাস আগেও দামের রেকর্ড গড়েছিল কাঁচামরিচ। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম তখন কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। মাঝে আমদানিসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে কাঁচামরিচের দাম কমেছিল। দুদিন আগেও যেখানে উপজেলা গুঠাইল, ধর্মকুড়াসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেখানে আজ ২৭০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পাইকারি বাজারের আড়তদার ব্যবসায়ী তোতা শেখ কালবেলাকে বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি পায়। গেল কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। ইসলামপুরে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক ক্রেতা বলেন, এখন তো কাঁচামরিচের দাম হওয়া উচিত ছিল ২০ টাকা পোয়া (আড়াইশ গ্রাম)। সেখানে আমরা কিনছি ৭০ টাকা পোয়া। কাঁচামরিচের দাম বেশি, এটা বললে বিক্রেতারা বলেন- আমদানি হয়নি বা আড়ত থেকে আসেনি।
ইসলামপুর কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা শাজাহান খাঁন বলেন, ক্রেতাদের অভিযোগ ঠিক আছে, দাম বেশি হলে তারা বলবেনই। এখানে কিছু করার নেই। এখন আমরা কিনে আনি বেশি দামে। বিক্রিও করি বেশি দামে। আমরা যদি কম দামে কিনে আনতে পারতাম তাহলে কম দামেই বিক্রি করতাম।
অন্যদিকে কেজিতে ১৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। ধর্মকুড়া হাটে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।
এক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের প্রতি কেজির দাম আগে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আজ কিনলাম ৯০ টাকায়। নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু বিপরীতে আমাদের আয় তো বাড়ছে না।
মন্তব্য করুন