কক্সবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ি জনপদ গর্জনিয়া ইউনিয়নে এবার আবুল কাশেম (৪০) নামে এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) রাত ২টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের নারাইম্মাঝিরি পাহাড়ে গুলি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় কাঠুরিয়ারা লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দিলে তারা পুলিশকে জানায়। রামু থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত আবুল কাশেম গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে।
আবুল কাশেমের ছোট ভাই মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ডাকাত শাহীন গ্রুপের প্রায় ৩০-৪০ জন সদস্য বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে তার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় এবং পরে গুলি করে হত্যা করে। নিহত আবুল কাশেমের ৪ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে, তার স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।
স্থানীয়রা (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, আবুল কাশেম কৃষিকাজের পাশাপাশি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে ভাড়া মারেন। সম্প্রতি সে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে অবৈধ গরু পাচারে বাধা দেয়। সেকারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা জানান ডাকাত শাহীন বাহিনী ও আবছার বাহিনীর চোরাচালানের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে।
এ নিয়ে গত এক মাসে গর্জনিয়ায় গরু পাচারসহ চোরাকারবারকে কেন্দ্র করে ৪টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের প্রচেষ্টা চলমান আছে।
রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানান, খবর পেয়ে রামু থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সকাল থেকেই অপরাধীদের ধরার জন্য আমরা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি।
ওসি বলেন, কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে এখনো সঠিক বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি ইউনিয়নে একমাসে চার খুনের ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই এলাকায়।
মন্তব্য করুন