বগুড়া শহরের নিউ মার্কেটের আল-তৌফিক জুয়েলার্সে সংঘটিত চুরির রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এ কথা জানান।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কদমতলা এলাকার রুবেল ওরফে আঙ্গুল কাঁটা রুবেল, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার দেওভোগ গ্রামের ইব্রাহিম ওরফে নয়ন ও কুমিল্লার দক্ষিণ সদর থানার কমলাপুর এলাকার শাহ জালাল।
এর মধ্যে জালাল স্বর্ণের দোকানদার। তিনি চোরাই স্বর্ণ কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। তাদের কাছ থেকে ১৭ ভরি ৮ আনা স্বর্ণ ও দোকানের তালা কাটায় ব্যবহৃত একটি বোল্ট কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।
এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, বগুড়া নিউ মার্কেটে চুরির ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় রুবেল। তার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি দল ওইদিন সকাল নাগাদ নিউ মার্কেটের আল-তৌফিক জুয়েলার্সে হানা দেয়। তাদের মধ্যে কেউ লোকজনের গতিবিধি লক্ষ্য করছিল, কেউ দোকানের তালা কাটে, আবার কেউ দোকানের ভেতরে ঢুকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কাজ করে।
তিনি বলেন, চুরির ঘটনার পর থেকেই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে নয়ন সাহাকে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার হোতা রুবেলকে চট্টগ্রামের ফিরোজশাহ কলোনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দুজনের তথ্যের ভিত্তিতে শাহ জালালের কাছে বিক্রি করা স্বর্ণ উদ্ধার এবং তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, এ চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্বর্ণের দোকান, মোবাইলের দোকানসহ বিকাশের দোকানে চুরি করে। তারা কোনো এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে না। এক জায়গায় চুরি সংঘটিত করে তারা স্থান পরিবর্তন করে অন্য এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। আল-তৌফিক জুয়েলার্সে চুরির সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন