তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেড় মাস ধরে নষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিজিটাল এক্সরে মেশিন

তালাবদ্ধ তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিজিটাল এক্সরে মেশিনের কক্ষ। ছবি : কালবেলা
তালাবদ্ধ তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিজিটাল এক্সরে মেশিনের কক্ষ। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি দেড় মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এতে বেশি টাকায় বেসরকারি হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্সরে করাতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগের নারী ও পুরুষ কাউন্টার দুটিতে তখন পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৬০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য টিকিট কেটেছেন। তাদের অনেকেরই ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসক ডিজিটাল এক্সরে করানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বাধ্য হয়ে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্সরে করছেন তারা।

তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি ডিজিটাল এক্সরে পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে এক্সরে ২০০ টাকা, এক্সরে স্কাল বি/ভি ২০০ টাকা, এক্সরে পিএনএস ১৫০ টাকা, এক্সরে লাম্বার স্পাইন বি/ভি ২০০ টাকা, এক্সরে ডরসাল স্পাইন বি/ভি ২০০ টাকা, এক্সরে সার্ভিক্যাল স্পাইন ২০০ টাকা, এক্সরে কে ইউ বি রিজিয়ন (দুই ফিল্ম) ৩০০ টাকা, এক্সরে এ্যাবডোমেন ২০০ টাকা, এক্সরে লেগ বি/ভি ২০০ টাকা, এক্স-রে থাই বি/ভি ২০০ টাকা, এক্সরে ফুট বি/ভি ১৫০ টাকা, এক্সরে এলবো জয়েন্ট বি/ভি ১৫০ টাকা, এক্সরে রিষ্ট জয়েন্ট বি/ভি ১৫০ টাকা, এক্সরে বেরিয়াস মিল এস/ডি ৬০০ টাকা, এক্সরে বেরিয়াস সোয়ালো ইসসোফেগাস ৫০০ টাকা, এক্সরে আই ভি ইউ ৮০০ টাকা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়।

অথচ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেকোন এক্সরে করতে সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা।

চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, বাড়ির উঠানে খেলতে গিয়ে আমার ছোট মেয়ের ব্যথা পেয়ে হাত ফুলে গেছে। ডাক্তার পায়ের ডিজিটাল এক্সরে করাতে বলছেন। এসে শুনি হাসপাতালের এক্সরে মেশিন নষ্ট। তাই বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মেয়ের এক্সরে করেছি।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফিক) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমি ৬ মাস আগে এখানে জয়েন করেছি। তখন এক্সরে মেশিনটি ভালো ছিল। দেড় মাস ধরে হার্ডডিস্কের সমস্যার কারণে মেশিনটি অচল অবস্থায় আছে। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আবার এক্সরে করা যাবে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, এক্সরে মেশিনের হার্ডডিস্কের সমস্যা হয়েছিল তবে সেটি ঠিক হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে পুরোদমে এক্সরে মেশিনটি চালু হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর সতর্কবার্তা

বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখল ভারত

ব্লুটুথ হেডফোন নাকি সাধারণ হেডফোন, কোনটি ভালো জানেন?

নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুকে মনোনীত করায় আনন্দ মিছিল

ইকরা হবিগঞ্জের বার্ষিক চড়ুইভাতি অনুষ্ঠিত

মেট্রোরেলে গাঁজা পরিবহন, বাবা-মেয়ে আটক

বাংলাদেশের জন্য এক লাখ টন চাল কিনছে পাকিস্তান

এক নেতাকে ‘সুখবর’ দিল বিএনপি

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরামে সভাপতিত্ব করেন ড. মো. সবুর খান

উচ্ছেদ আশঙ্কায় ৪০০ পরিবার, আশ্রয় রক্ষার দাবি স্থানীয়দের

১০

বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে টিএসসিতে ‘বাউল সন্ধ্যা’

১১

ব্যাংক বন্ধে গ্রাহক তাৎক্ষণিক যত টাকা পাবেন

১২

আমলাতান্ত্রিকতার কারণে শিক্ষকরা অনাহারে জীবন-যাপন করছেন : রিজভী

১৩

কখনও এক, কখনও তিন ম্যাচ: এমএলএস প্লে-অফের বিভ্রান্তিকর নিয়মের ব্যাখ্যা

১৪

থাইল্যান্ডের ই-ভিসা নিয়ে সতর্কবার্তা

১৫

সড়কে লবণ ফেলে, কাফনের কাপড় পরে চাষিদের প্রতিবাদ

১৬

হত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁসি

১৭

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

১৮

বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় মুক্তি পেলেন ৩৫ জন

১৯

রান্না শিক্ষার কোর্সে ভিড়, সুযোগ পেতে বসতে হলো পরীক্ষায়

২০
X