ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বেশকিছু অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
শনিবার (১১ মে) বিকেলে মহাসড়কের জামগড়া থেকে ইউনিক এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা যায়। শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালের বৃষ্টিতে সড়কের এসব এলাকা তলিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক পানির নিচে তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষরা পড়েছেন ব্যাপক ভোগান্তিতে। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের এই অংশে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তবে এই অবস্থা থেকে স্থানীয়দের স্বস্তি দিতে স্থায়ী কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। তাদের দাবি, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণেও এই পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। যদিও এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পোশাক শ্রমিক মোজাম্মেল ইসলাম বলেন, পানির কারণে সমস্যা হয়। হাঁটাও যায় না। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই এমন দুর্ভোগে পড়তে হয়।
পথচারী মো. এনামুল সরকার বলেন, গাড়ি চললে পানিতে ঢেউ হলে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। অফিসে যাওয়াই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আরেক পথচারী মো. আইয়ুব বলেন, রাস্তায় পানির জন্য পার হওয়া যায় না। নোংরা পানি সড়কে ভর্তি। গাড়ি চললেই ঢেউয়ে পানি আশপাশ নোংরা হয়ে যায়। সড়কে নির্মাণকাজ চলায় এমন অবস্থা হয়েছে।
অটোরিকশা চালক লিটন বলেন, গাড়ি চালাতে পারি না। রিকশার ভেতরে পানি চলে আসে। রাস্তা কোথায় ভাঙা বুঝতে পারি না। এক্সিডেন্ট হতে হতে কয়েকবার বেঁচে গেছি।
বর্তমানে সড়কটি সড়ক ও জনপথের আওতা থেকে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতাধীন। ফলে এই সড়কটির দায়-দায়িত্ব এখন এই প্রকল্পের।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বৃষ্টির পানি যেখানে নামবে সেই লেভেলেও পানি। আমাদের লোকজন কাজ করছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে সমাধান করা যায় সেটি দেখা হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় এভাবে পানি জমেছে। এ বছর আমাদের ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই এই সমস্যা সমাধান হবে।
মন্তব্য করুন