বিএনপি আগের চেয়ে শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, আমি মনে করি বিএনপি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তা না হলে এতো নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যে কাশিয়ানি উপজেলায় সম্মেলন করতে পারত না। কাশিয়ানি তথা গোপালগঞ্জের মাটিতে ধানের শীষের ঝান্ডা অনেক আগেই উড়িয়েছেন। আবারও নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের আনাচে-কানাচে বিএনপির নাম আরও ছড়িয়ে দিবেন।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, অনেকেই বলেন, গোপালগঞ্জসহ এই অঞ্চলটি নাকি আওয়ামী লীগের জন্য উর্বর জায়গা। সেজন্য তারা নির্ভার থাকে। তাহলে নির্বাচনের সময় ভোট কাটা লাগে কেনো? গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা ভোট বর্জন করেছি। দেশবাসী ভোটকেন্দ্রে যায়নি। তাপরও তাদের নির্বাচন কমিশন ৪০ শতাংশ ভোট বাড়তি দেখিয়েছে। সেদিন তারা গোপালগঞ্জের মতো জায়গাতেও ভোট কেটেছে। প্রকৃতপক্ষে ১০ ভাগ ভোটও তারা পায়নি। এইটা গোপালগঞ্জে কেনো করতে হবে। যে পরিমাণ ভোটার তার চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে! এটা তো বোকাও বুঝে। এই হলো আমাদের সংসদ ও সংসদ সদস্যদের অবস্থা। তারা ভোটারের চেয়েও বেশি ভোট পান। এভাবেই তারা তথাকথিত সংসদে বসে আছে আর দেশের ১৭ কোটি মানুষের ওপর আইন প্রয়োগ করছেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ ভালো নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন আমরা ১৭ টাকা কেজি চাল কিনতে পেরেছি। এই সরকার দুর্নীতি ও হাজার কোটি টাকা পাচারের মাধ্যম বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করছে। এভাবে তারা দেশের মানুষের হক তথা অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সবচেয়ে বড় অধিকার মানুষের ৫ বছর অন্তর অন্তর ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিক উজ্জামান। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) সেলিমুজ্জামান সেলিম।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ডা. কে এম বাবর, অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম, সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন, ফজলুল কবির দারা, জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক রাশেকুজ্জামান পলাশ, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন বেগম, সহসভাপতি রাহেলা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খাতুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম শেখ, বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল বকুল লস্কর, শফিকুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মুন্সী এনামুল হক শিমুল, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম পাভেল, সাবেক ছাত্রদল নেতা বিল্লাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফুরকান শরীফ টিটু, সদস্য সচিব মিলন খান, ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুজাউদ্দিন সিকদার অপু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন