ঢাকার ধামরাইয়ে প্রভাবশালী এক প্রার্থীর সঙ্গে যোগসাজশ ও আঁতাত করে প্রিসাইডিং অফিসারদের পছন্দের কেন্দ্রে ডিউটি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন অফিসার জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন অফিসারের এসব আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে এবং সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ভোটাধিকার ও নির্বাচন বিমুখতার সৃষ্টি করবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা অফিসার্স ক্যাফে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এই কথা জানান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন।
এ সময় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. মোহাদ্দেছ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আগামী ২১ মে ধামরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদ হোসেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য পরিকল্পনা করছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করে তার পছন্দের লোক দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিং এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন। যাতে তারা কেন্দ্রের ভেতরে প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিং এজেন্ট দিয়ে ওই প্রার্থীকে বিজয় করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার লক্ষে নির্বাচন অফিসার জাহিদ হোসেনকে প্রত্যাহার ও ওইসব প্রিসাইডিং অফিসারদের রদবদল করার জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমি কোনো প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিং এজেন্ট নিয়োগ দেইনি। আমরা তালিকা তৈরি করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এর কাছে পাঠাই। তারাই প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিং এজেন্ট নিয়োগ দেয়।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার খান মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা কেন্দ্রের ভেতরে প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিং এজেন্ট দিয়ে প্রার্থীকে বিজয়ী করার মর্মে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটির সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন