দিনাজপুরের খানসামায় ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিনিয়তই বাড়ছে বিভিন্ন সবজির দাম। তবে ঝাল বেড়েছে কাঁচামরিচের। বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। এতে বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। গত বছরের আগস্ট মাসে দামের রেকর্ড করেছিল কাঁচা মরিচ। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম তখন কেজিপ্রতি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। তবে এখন আবারও চোখ রাঙাচ্ছে এর ঝাল।
শনিবার (১৮ মে) উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সপ্তাহ খানেক আগে বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
বেশ কিছুদিন ধরেই অস্থির রয়েছে রসুন, পেঁয়াজ, আলু, মুরগি ও মাছের বাজার। এবার এ তালিকায় নাম উঠল কাঁচামরিচের। বাড়তি দাম অন্যান্য সবজির।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, গরমের অজুহাত দিয়ে আবারও কাঁচামরিচের বাজার অস্থির করার চেষ্টা চলছে।
বাজার করতে আসা আশরাফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। এ মরিচ কিছুদিন আগে কিনলাম ৫০ টাকা সেই মরিচ এখন ১০০ টাকা। গতবার বৃষ্টি আর এবার অজুহাত দেওয়া হচ্ছে গরমের।
তিনি আরও বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ কোন দিকে যাব। অন্যান্য মসলা না হলেও তরকারি রান্না করা যায়। তবে কাঁচামরিচ ছাড়া তরকারি একেবারেই যায় না। যদিও শুকনা মরিচ দিয়ে রান্না করা যায়, কিন্তু সেই তরকারি তো ভালো লাগে না। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে কিনছি।
বিক্রেতাদের দাবি, তীব্র গরমের কারণে গাছ মরে যাচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন; তাই বাড়ছে দাম।
খানসামা বাজারের শাহিনুর ইসলাম নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ৯০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। এ ছাড়াও ক্যারিং খরচ তো আছেই। সব খরচ বাদ দিয়ে ৫ টাকা লাভে বিক্রি করছি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বাড়ছে এর দাম। অন্যান্য বছর গরম ও ঝড়-বৃষ্টির কারণে হলেও এবার তীব্র গরমে মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি হওয়ায় বাড়ছে দাম।
পাকেরহাট বাজারের পাইকারি মরিচ বিক্রেতা মিলন ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমি কৃষকদের বাড়ি থেকে কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা দরে কিনেছি। ১০ টাকা লাভে খুচরা দোকানদারের কাছে বিক্রি করছি।
মন্তব্য করুন