ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্তঃনগর চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তানজিল (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে কসবা পৌরসভার নোয়াপাড়ার রেল ক্রসিংয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত তানজিল নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের মৃত সৈয়দ আনিসুর রহমান জুয়েলের ছেলে। তিনি দুবাই প্রবাসী। আহত খায়রুল ইসলাম শাওন কসবা পৌরসভার আড়াইবাড়ি গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে এবং অলি মিয়া একই গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তারা তিনজন রেলগেট অতিক্রম করছিল। ঠিক তখনই চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্তঃনগর চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাদের ধাক্কা দেয়। আমরা তিনজনকেই মুমূর্ষু অবস্থায় কসবা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক তানজিলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায়, এ রেল ক্রসিংটি অরক্ষিত থাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি বহন করছে। অনেক সময় মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা অসাবধানতাবশত রেললাইন ক্রস করছে। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকছে। সরকার যদি এ রকম যেসব অরক্ষিত রেলক্রসিং রয়েছে সেগুলোর নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে রেল দুর্ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই যাবে। আমরা সমাধান চাই। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।
নিহত তানজিলের চাচা জানান, ফোন পেয়ে হাসপাতালে আসি, মারা গেছে তা জানতাম না। সে দুবাইয়ে চাকরি করত। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। মোটরসাইকেল নিয়ে কসবার পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিল।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ২ জন মারাত্মক আহত হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন