কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেরামতের কাজ শেষ না হতেই ভেঙে গেল বাঁধ

স্থানীয়রা সংস্কার করছেন বাঁধ। ছবি : কালবেলা
স্থানীয়রা সংস্কার করছেন বাঁধ। ছবি : কালবেলা

খুলনার কয়রার দশহালিয়া গ্রামে জোয়ারের পানিতে ভাসছে অর্ধশতাধিক পরিবার। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে জরাজীর্ণ বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। তাৎক্ষণিক স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী বাঁধের ওপর বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

বুধবার (২৯ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, দশহালিয়ার দুটি স্থানের ৭০ মিটার বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার ভোর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ৫ শতাধিক স্থানীয় জনগণ ফের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। ঐদিন বেলা দেড়টা পর্যন্ত কাজ করে দুটি পয়েন্টে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়। তবে যথাসময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বস্তা, জিও ব্যাগ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বালুর বস্তা না দিতে পারায় জোয়ারের পানিতে ফের রিং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্লাবিত হয় এলাকা। সেখানে অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। তাদের সুপেয় পানি ও খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। মিলছে না অসুস্থদের চিকিৎসা সেবা। তলিয়ে গেছে কয়েকশ চিংড়ির ঘের।

দশহালিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শাহাদাত হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল, আরাফাতসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দশহালিয়ার ওই স্থানটি বারবার ভাঙছে। দুই বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ সংস্কার করলেও ফের ভেঙেছে। মূলত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ হাত বদল হওয়ায় মানসম্মত হয় না। মূল ঠিকাদার থেকে কাজ সম্পন্ন করা শ্রমিক সরদার পর্যন্ত কয়েকটি দফায় লভ্যাংশ রেখে হাত বদল হয়। ফলে বরাদ্দের দশ শতাংশ টাকারও কাজ হয় না বলে অভিযোগ তাদের।

মহারাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, বাঁধ না ভাঙা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড গুরুত্ব দেয় না। তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আজ আমরা পানিবন্দি। তিন দিন হলো এখান থেকে জোয়ার ভাটায় পানি ওঠানামা করছে। এরপরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চরম উদাসীনতা রয়েছে। বালুপূর্ণ জিও ব্যাগ দেওয়ার কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড সেটা এখানে পৌঁছায়নি। তাদের গাফিলতিতে আজও পানি আটকানো সম্ভব হয়নি।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা জনগ‌ণের সঙ্গে থেকেই সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। বাঁধ নির্মাণের সকল সরঞ্জামাদি আমরা সরবরাহ করছি। শ্রমিকের মজুরিও পরিশোধ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দিলেন মেঘ

মোটরযানমুক্ত আধুনিক শহর, দেখেই চোখ জুড়ায় (ভিডিও)

জিলানীর শরীরে রয়ে যাওয়া ‘পিলেট’ অপসারণ করলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক রফিক

গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে : আখতার 

৫ কাজ করতে পারবেন না ডাকসুর প্রার্থীরা

ধেয়ে আসছে অতি ভারী বৃষ্টিবলয় ‘স্পিড’, কবে কোথায় প্রভাব ফেলবে

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

১০

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

১১

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

১২

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

১৩

কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৪

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

১৫

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

১৬

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

১৭

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১৮

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৯

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

২০
X