বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেরামতের কাজ শেষ না হতেই ভেঙে গেল বাঁধ

স্থানীয়রা সংস্কার করছেন বাঁধ। ছবি : কালবেলা
স্থানীয়রা সংস্কার করছেন বাঁধ। ছবি : কালবেলা

খুলনার কয়রার দশহালিয়া গ্রামে জোয়ারের পানিতে ভাসছে অর্ধশতাধিক পরিবার। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে জরাজীর্ণ বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। তাৎক্ষণিক স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী বাঁধের ওপর বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

বুধবার (২৯ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, দশহালিয়ার দুটি স্থানের ৭০ মিটার বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার ভোর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ৫ শতাধিক স্থানীয় জনগণ ফের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। ঐদিন বেলা দেড়টা পর্যন্ত কাজ করে দুটি পয়েন্টে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়। তবে যথাসময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বস্তা, জিও ব্যাগ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বালুর বস্তা না দিতে পারায় জোয়ারের পানিতে ফের রিং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্লাবিত হয় এলাকা। সেখানে অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। তাদের সুপেয় পানি ও খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। মিলছে না অসুস্থদের চিকিৎসা সেবা। তলিয়ে গেছে কয়েকশ চিংড়ির ঘের।

দশহালিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শাহাদাত হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল, আরাফাতসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দশহালিয়ার ওই স্থানটি বারবার ভাঙছে। দুই বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ সংস্কার করলেও ফের ভেঙেছে। মূলত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ হাত বদল হওয়ায় মানসম্মত হয় না। মূল ঠিকাদার থেকে কাজ সম্পন্ন করা শ্রমিক সরদার পর্যন্ত কয়েকটি দফায় লভ্যাংশ রেখে হাত বদল হয়। ফলে বরাদ্দের দশ শতাংশ টাকারও কাজ হয় না বলে অভিযোগ তাদের।

মহারাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, বাঁধ না ভাঙা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড গুরুত্ব দেয় না। তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আজ আমরা পানিবন্দি। তিন দিন হলো এখান থেকে জোয়ার ভাটায় পানি ওঠানামা করছে। এরপরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চরম উদাসীনতা রয়েছে। বালুপূর্ণ জিও ব্যাগ দেওয়ার কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড সেটা এখানে পৌঁছায়নি। তাদের গাফিলতিতে আজও পানি আটকানো সম্ভব হয়নি।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা জনগ‌ণের সঙ্গে থেকেই সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। বাঁধ নির্মাণের সকল সরঞ্জামাদি আমরা সরবরাহ করছি। শ্রমিকের মজুরিও পরিশোধ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

১০

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

১১

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

১২

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

১৩

‘বিষাক্ত মদ’ পানে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের স্বামীর মৃত্যু

১৪

বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য

১৫

ঢাকা উত্তর সিটিতে জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে

১৬

শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে খালেদা জিয়া

১৭

জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ নারী ফুটবল দলকে গণসংবর্ধনা

১৮

দুই বছর আগের মামলায় নতুন করে ‘আসামি’ সাংবাদিক

১৯

বদলির আদেশের ৩ সপ্তাহ পরও অফিস করছেন রাসিক সচিব

২০
X