কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই জামানত হারাচ্ছেন। চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন।
সংবিধানে উপজেলা নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ না পান তাহলে সেই প্রার্থীর নির্বাচন কমিশনে দেয়া জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিধি মোতাবেক চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের অনূকুলে প্রতি প্রার্থী ১ লাখ টাকা জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রতি প্রার্থীর জামানত ৭৫ হাজার টাকা।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ঘোষিত ফলে দেখা যায়, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪০ জন। বুধবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত ভোটে মোট প্রদত্ত ভোটের পরিমাণ ৯১ হাজার ৮৫। চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর (আনারস) প্রতীকে সর্বোচ্চ ৮৬ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা গোলাম সারোয়ার হাসান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৪০ ভোট, বশির আহাম্মদ কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮২ ভোট, রাশেদ আলম হায়দার দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ ভোট। চারজনের মধ্যে তিনজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে শাহিনুর রহমান শাহিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৪ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ১৭৭ ভোট। হাবীবুর রহমান উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৪১ ভোট। আতিকুর রহমান হেলাল তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৯৯ ভোট। আবদুল্লাহ নজরুল টিয়া পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯৬ ভোট। পাঁচজনের মধ্যে তিনজনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারজনই হারাচ্ছেন জামানত। হাঁস প্রতীকে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন মুখ নুরজাহান মজুমদার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সানোয়ারা বেগম লুনা সেলাই মেশিন প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৪৬ ভোট। কুলসুম বেগম কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৯ ভোট, আফজালুন নেছা বাসিত ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৮০২ ভোট। নাজমা আক্তার প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৯ ভোট। আসমা আক্তার পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৩ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সহিদ হোসেন বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম ভোট পাওয়া প্রার্থীদের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত হবে। মুরাদনগরে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন