জামালপুরের বকশীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় গ্রামপুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির বিরুদ্ধে।
শনিবার (১ জুন) রাতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রামপুলিশ নুরুন্নবী।
এ আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলেন গ্রামপুলিশ নুরুন্নবী। কিন্তু ওই দিন তার বকশীগঞ্জ থানায় হাজিরার দিন ছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার উপজেলার সকল ইউনিয়নের গ্রামপুলিশরা থানায় হাজিরা দেন। ধানুয়া কামালপুর পরিষদে কাজ থাকার কারণে তিনি সেদিন থানায় যেতে পারেননি। চেয়ারম্যান পরিষদে আসতে দেরি করায় ইউপি সচিব আবদুল লতিফের কাছ থেকে থানার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিবেদন আরেক গ্রামপুলিশ সন্তোষ সাংমার মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেন নুরুন্নবী।
দুপুর ১২টার দিকে পরিষদে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। পরে থানার প্রতিবেদন খাতায় ইউপি সচিবের স্বাক্ষর নেওয়ার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুন্নবীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। একপর্যায়ে শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া ও মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় গ্রামপুলিশ নুরুন্নবী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গ্রামপুলিশ সদস্য নুরুন্নবী বলেন, পরিষদে কাজ থাকায় এবং চেয়ারম্যান আসতে দেরি করায় থানার প্রতিবেদন খাতায় আমি সচিব স্যারের স্বাক্ষর নিয়ে গ্রামপুলিশ সন্তোষ সাংমা মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেই। এটাই আমার অপরাধ। তাই চেয়ারম্যান আমাকে গালাগালি ও মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছেন। এ কারণে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন, বৃহস্পতিবার গ্রামপুলিশরা থানায় হাজিরা দেন। পরিষদে সরকারি কাজ থাকার কারণে ৩ জনকে পরিষদে থাকতে বলে সবাইকে থানায় যেতে বলি। কিন্তু আমি আসার আগেই নুরুন্নবী সচিবের কাছে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিবেদন থানায় পাঠিয়ে দেয়। আমি তাকে ডেকে এটাই জানতে চেয়েছি। তাকে মারধর ও পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার কথা সঠিক নয়।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা কালবেলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য এক অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন