লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কমছে তিস্তার পানি, বেড়েছে ভাঙন

তিস্তা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীতীরের বাসিন্দা। ছবি : কালবেলা
তিস্তা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীতীরের বাসিন্দা। ছবি : কালবেলা

উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলায় তিস্তা নদীতে বৃদ্ধি পাওয়া পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি ও গাছপালা।

ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন সমাবেশ করে ভিটেমাটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বরাদ্দ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দুদিনের উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার চরসহ তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠে। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বাদাম, মিষ্টিকুমড়া, ভুট্টাক্ষেতসহ নানান ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। এতে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে শনিবার (১ জুন) দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।

পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। আদিতমারী উপজেলার বাহাদুরপাড়া ও গরিবুল্লাহপাড়া এলাকার ছয়টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর। নদীতে বিলীন হচ্ছে ধান, ভুট্টা, পাট, মরিচ ক্ষেতসহ ফসলি জমি।

এ ছাড়া একই উপজেলার মহিষখোচা নদী তীরের ছয়টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন দেখা দেওয়ায় ঘরবাড়ি ভেঙে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন পাড়ের বাসিন্দারা। ভাঙনের ফলে ফসলি জমিও নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার ও দুটি মসজিদ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। গত দুই সপ্তাহ থেকে ভাঙন চললেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাউবো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভাঙন রোধে দ্রুত সময়ে জিও ব্যাগ ফেলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন যাবে। আমরা বারবার পাউবোকে অনুরোধ করেছি। তারা আশ্বাস দিয়েও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে হলেও ভাঙন না আটকালে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।

আদিতমারী এলাকার গোবর্ধন এলাকার কৃষক মতি মিয়া বলেন, চরে এ বছর মরিচ, ভুট্টা ও পেঁয়াজ আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ পানিতে ডুবে গিয়ে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, আমরা ভাঙনের ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছি। বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় বরাদ্দ আসায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদ্রাসায় চালু হলো নতুন সাবজেক্ট

মুরাদনগরে বিষাক্ত স্পিরিট পানে ২ জনের মৃত্যু

প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

কুষ্টিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রাণ ভোমরারা হতাশ হয়েছেন : নুর

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

এবার চট্টগ্রামে সাংবাদিককে গলা টিপে হত্যাচেষ্টা

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

এনসিপির হয়ে নির্বাচন করব কিনা সিদ্ধান্ত নেইনি : আসিফ মাহমুদ

সবাইকে টেস্ট খেলানো জরুরি নয় : জোরাজুরিতে দেউলিয়ার শঙ্কা

১০

প্রবাসেও আপ বাংলাদেশের কমিটি ঘোষণা 

১১

ইসরায়েল পুড়ছে রেকর্ড তাপমাত্রায়

১২

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সহায়তার চেক দিল যমুনা অয়েল

১৩

অসহায় পরিবারের দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা-অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান

১৪

৩০০ আসনে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে গণতন্ত্র মঞ্চ 

১৫

ড্রোন শো পরিচালনার প্রশিক্ষণে চীন যাচ্ছেন ১১ জন

১৬

সামাজিক কাজে অবদান রাখায় নিবন্ধন পেল প্রভাত

১৭

স্বাস্থ্যের ডিজির আশ্বাসে মন গলেনি, নতুন কর্মসূচি ছাত্র-জনতার

১৮

শহীদ মিনারে কাফনের কাপড় পরে বস্তিবাসীদের অবস্থান

১৯

পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন হতে হবে : চরমোনাইর পীর

২০
X