অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে ভিসা পেয়েছেন ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
সোমবার (৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় ভিসা হাতে পান তিনি। একইসঙ্গে ভিসা পেয়েছেন এমপি আনারের পিএস আব্দুর রউফ। এখন তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা পেলে তারা ভারতে রওনা হবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে তদন্ত দলের একটি টিম তাদের সঙ্গে যাবেন বলে জানা গেছে।
এমপি আনারের পিএস আব্দুর রউফ জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি ও এমপির কন্যা ডরিন একসঙ্গে ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে ভিসা সংগ্রহ করেছেন। এর আগে গত ৩০ মে পর্যন্ত তারা ভিসা না পাওয়ায় ১ জুন ঝিনাইদহ থেকে ঢাকা যান। ঢাকায় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে আলাপের পর রোববার (২ জুন) তারা ভারতীয় দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহের বার্তা পান।
আব্দুর রউফ জানান, এমপি আনারের বড় ভাই আবেদ আলী তাদের সঙ্গে কলকাতা যাবেন। তার আগে থেকেই ভারতের ভিসা রয়েছে। তবে একসঙ্গে যাবেন বলে তিনিও অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভিসা পেয়েছি, ফলে এখন যেকোনো মুহূর্তে যাওয়ার প্রস্তুতি আছে। আমরা এখন সবাই ঢাকায় অবস্থান করছি
‘নেপাল থেকে ডিবির টিম আজ দেশে ফিরবে। এরপর তাদের সঙ্গে আলাপে বসবেন।’ জানান এমপি আনারের পিএস।
ভারতে গোয়েন্দা সংস্থা গত ২৮ মে পাওয়া মাংসের টুকরার ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর ডিবিকে অবহিত করবেন। এরপর তদন্ত টিমের সঙ্গে তারা ভারতে যাবেন এমনটাই তাদের জানানো হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
দুই দেশের গোয়েন্দাদের ভাষ্য মতে, কলকাতার নিউ টাউনে সঞ্জীবনী গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যা করা হয়েছে, তার সেপটিক ট্যাংক থেকে গত ২৮ মে উদ্ধার করা হয় কিছু মাংসের টুকরা। সেগুলো এমপি আনারের কিনা, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার রক্তের সম্পর্কীয় স্বজনদের সেখানে যাওয়া প্রয়োজন। আর সেই উদ্দেশ্যে এমপি আনার কন্যা ডরিন, তার বড় চাচা আবেদ আলীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তদন্ত টিম। তার আগেই এমপি আনারের নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে গত ২২ মে ডরিন ও রউফ ভিসার জন্য ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন।
মন্তব্য করুন