সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় অবনতিও হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেটের প্রধান নদী সুরমার পানি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, সুরমা নদীর পানি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। বুধবার দুপুরে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট নগরে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার নিচে নেমেছে।
সিলেট নগরীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় নগরীর জলাবদ্ধ এলাকা থেকে ধীরে ধীরে নামছে পানি। তবে এখনো পানিবন্দি নগরীর বেশকিছু এলাকা। ওইসব এলাকাসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো ত্রাণ সেবা অব্যাহত রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
গেল ২৭ মে থেকে সিলেটে ভারি বৃষ্টি আর ঢলে জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। জেলার কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার (৫ জুন) জেলা প্রশাসনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যানুসারে, সিলেট জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬৩টি ইউনিয়ন এবং ১৩ ওয়ার্ডের ৮৪২টি গ্রাম/পাড়ার ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬২ জন পানিবন্দি।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোতে মোট ৫৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বর্তমানে ৪ হাজার ৫০৫ জন অবস্থান করছেন।
মন্তব্য করুন