মতলবের রাজা! তবে এ রাজা কোনো রাজ্যের রাজা নয়। এ হলো আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা সুঠাম দেহের একটি ষাঁড়ের নাম। সাদা-কালো রঙের ষাঁড়টির শরীরের দৈর্ঘ্য ৬৭ ইঞ্চি, উচ্চতা ৫৫-৬০ ইঞ্চি ফুট। ওজন ২৫ মণ অর্থাৎ ১ হাজার কেজি।
ষাঁড়টির মালিকের আশা, রাজাকে বিক্রি করবেন ৮ লাখ টাকায়। হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবারে নিজের বাড়িতে লালনপালন করেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রাঢ়ী কান্দী গ্রামের ইলিয়াস দেওয়ান। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। শুধু রাজাই নয়, আরও ২টি গরু লালনপালন করেছেন তিনি।
খামারে প্রায় আড়াই বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি থেকে জন্ম নেয় রাজা। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টিকে রাজার মতোই লালনপালন করেছেন বলে নাম রেখেছেন ‘রাজা’। বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি হাটে আনা-নেওয়া করা কষ্টকর, তাই বাড়ি থেকেই রাজাকে বিক্রির চেষ্টা করছেন বলে জানান ইলিয়াস দেওয়ান।
রাজার মালিক ইলিয়াস দেওয়ান বলেন, জন্মের পর রাজাকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খড়, ঘাস, ছোলা, মসুরের ডাল ও ভুষি, ভুট্টার আটা, চোপড়, খুদের ভাত, খৈল, ধানের গুঁড়া ও চিটা গুড় খাইয়ে লালন-পালন করছেন। মাঝেমধ্যে কাঁচাকলা, গাজর, আপেলসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলও খাওয়ানো হয়। এতে প্রতিদিন খরচ হয় ৮শ থেকে এক হাজার টাকা।
থাকার জায়গায় ২৪ ঘণ্টা ২টি ফ্যান দেওয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে হাতপাখা দিয়ে রাজাকে বাতাস করতে হয়। প্রতিদিন ২/৩ বার গোসল করাতে হয়।
রাজার চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন মতলব উত্তর উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কুমার দাস। তিনি বলেন, এটি পশুসম্পদ অধিদপ্তরের ১৬৮ নম্বর প্রুভেন ব্লুর সিমেনের হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়।
মন্তব্য করুন