এলএলবি সম্পন্ন করা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের অনিল মারমা। শখের বসে পরীক্ষামূলক মাশরুম চাষ শুরু করে সফলতা পেয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নিজে যেমন মাশরুম চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন তেমনি এলাকার বিভিন্ন বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছেন তিনি।
মাশরুম চাষের বিষয়ে অনিলের সঙ্গে কথা হলে অনিল কালবেলাকে বলেন, উপজেলার বড়ইছড়ির নিজ বাড়িতে মাশরুম চাষ শুরু করেছি প্রায় তিন বছর আগে। করোনাকালীন সময়ে মাশরুম চাষের পরিকল্পনা করেই কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে সফলতা পাওয়ায় বর্তমানে প্রতিনিয়ত মাশরুম চাষের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও আরও বড় পরিসরে মাশরুম চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মাশরুম চাষের পাশাপাশি স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ এবং দিকনির্দেশনাও দিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, এলএলবি শেষ করেও লেখাপড়ার পাশাপাশি মাশরুম চাষে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। পরীক্ষামূলক মাশরুম চাষ শুরু করলেও বর্তমানে ভালোই সফলতা পেয়েছি। মাগুরা জেলার ড্রিম মাশরুম সেন্টার থেকে মাশরুষ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। যেখানে মাশরুম চাষের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক বাবুল আক্তারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাপ্তাই বড়ইছড়ি বাড়ির পাশে একটি শেড বানিয়ে মাশরুম চাষ করছি। এ ঘরে কমপক্ষে ১ হাজার মাশরুম চাষের খড়ের সিলিন্ডার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন রয়েছে।
এ উদ্যোক্তা আরও বলেন, গত চার মাসে ৪০০ খড়ের সিলিন্ডার থেকে মাশরুম উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩০০ কেজি। উৎপাদিত মাশরুম রাঙামাটি জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাইকারিভাবে বিক্রয় করা হয়। সারা বছর এক হাজার খড়ের সিলিন্ডার তৈরি করে মাশরুম উৎপাদন করতে পারলে বছরে কমপক্ষে ৪-৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান আহামেদ কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে দেশে বিদেশে মাশরুম চাষ দিনদিন অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। অনিল মারমার মতো যদি অন্যরাও এ মাশরুম চাষে কাজ শুরু করে, তবে অনেকেই এতে স্বাবলম্বী হতে পারবে। কেননা মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং অনান্য কিছুর তুলনায় মাশরুমের কদরটা অনেক বেশি। এ ছাড়া অনিল মারমাকে মাশরুম চাষে কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অনিল মারমার মাশরুম চাষের আরও সফলতা কামনা করেছি।
মন্তব্য করুন