বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটররা কৃষকদের সেচের পানি দেওয়ার সময় স্বজনপ্রীতি করেন। সিরিয়াল না মেনে তাদের আত্মীয়স্বজনকে আগে পানি দেন।
আর সাধারণ কৃষকের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। গত বোরো মৌসুমেই বিএমডিএ এমন ৬১টি অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ জন নলকূপ অপারেটরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সংকট দূরীকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বিএমডিএর পক্ষ থেকেই অভিযোগ প্রাপ্তি ও চাকরিচ্যুতির তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএমডিএ এবং সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারি অরগানাইজেশনের (সিসিবিভিও) যৌথ উদ্যোগে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত কৃষক, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মীরা সেচ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এ সময় বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, ডিপ টিউবওয়েল অপারেটরদের বিরুদ্ধে আপনারা অভিযোগ দেন। আমরা সেটা খতিয়ে দেখি। আমরা আদিবাসী-বাঙালি আলাদা করে দেখি না। কোনো অভিযোগ পেলে আমরা সেখানে যাই, পরিদর্শন করি, সমস্যার কথা শুনি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিই। গেল মৌসুমে ৬১টি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে, যার অধিকাংশই পানির সিরিয়াল সংক্রান্ত।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ জন অপারেটরকে অপসারণ করেছি। আপনাদের আমি অভয় দিচ্ছি, আপনারা অধিকার সম্পর্কে সচেতন হন। কৃষকদের সমস্যার কথা জানতে একটি হটলাইন সেবা চালু করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিসিবিভিওর নির্বাহী প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা সারওয়ার-ই-কামাল স্বপন। সভা সঞ্চালনা করেন সিসিবিভিওর প্রকল্প সমন্বয়কারী ইথার আরিফ। কী-নোট উপস্থাপন করেন প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সৌমিক ডুমরী।
মন্তব্য করুন