রংপুরের পীরগাছায় নিখোঁজের আট দিন পর রুবেল মিয়া নামে দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মরদেহ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের মদকপাড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুবেল মিয়া ছোট কল্যাণী তালতলা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন, নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেল ও সোহাগ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২ জুন) রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় রুবেল। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রুবেলের সন্ধান না পেয়ে বাবা বেলাল হোসেন সোমবার (৩ জুন) দুপুরে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওই ডায়েরির সূত্র ধরে নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেলকে সন্দেহভাজন হিসেবে সোমবার (১০ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তা করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত রুবেলের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, আমার ছেলে রুবেল স্থানীয় বড়দরগা বাজারে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ক্লাস করার জন্য গত রোববার (২ জুন) রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় সোমবার (৩ জুন) দুপুরে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেল। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে রুবেলকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে আসল রহস্য উদঘাটন হবে।
মন্তব্য করুন