একটি ফুলের নাম দাঁতরাঙা। অঞ্চলভেদে এ ফুলের নাম কাঞ্চন ফুল। এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একে খুঁজতে গিয়ে পেলাম এর নাম দাঁতরাঙা। দাঁতরাঙা এক ধরনের গুল্মজাতীয় গাছ, যা বাংলাদেশে আগাছা হিসেবে পরিচিত। এটি প্রধানত পাহাড়ি বা উঁচু এলাকায় বেশি দেখা গেলেও সারা দেশেই জন্মাতে দেখা যায়।
দাঁতরাঙা ফুলটি গন্ধহীন। প্রায় সারা বছরই এ ফুল ফুটলেও প্রধানত গ্রীষ্ম-বর্ষায় ফুলটি প্রচুর ফুটতে দেখা যায়। এর ডালের আগায় অল্প কয়েকটি ফুলের গুচ্ছ থাকে। বলা হয় এ গাছে ছোট আকৃতির যে ফল জন্মে তা খেলে দাঁত বেগুনি হয়ে যায়। তাইতো এর নামকরণ করা হয়েছে ‘দাঁতরাঙা’। এর পাতা দেখতে তেজপাতার ন্যায় হওয়ায় একে ‘বন তেজপাতাও’ বলে হয়।
দাঁতরাঙা ফুলের ফল ও ফুলের বিচি খেলেই দাঁত রাঙা বা রঙিন হয় বলে এ ফুলের নামকরণ হয়েছে দাঁতরাঙা। কথিত আছে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার খুব প্রিয় ছিল এই ফুল। তাই তিনি এর নাম দেন বেগম বাহার। আরও কথিত আছে যে এলাকায় এই দাঁতরাঙা ফুল জন্মে সেখানে না কি ভালো চা বাগান করা সম্ভব।
এই গাছের ঔষধি গুণ আছে। বমি এবং জোঁকের কামড় থেকে রক্ত বন্ধ করতে এর ব্যবহার করা হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এর পাতার রস আমাশয়, পেটব্যথা, বাত ও বাতজ্বর দূর করতে পারে।
দাঁতরাঙা ফুলটির আঞ্চলিক ও অন্যান্য নামগুলো হলো- লুটকি, ফুটকি, ফুটকলা, ফুটুল, বন তেজপাতা ও বেগম বাহার ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন