১৪ বছর আগে সৌদি আরবে আকামা না পেয়ে দেশে এসে ক্ষুব্ধ হয়ে এক নারীকে বালিশচাপায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ।
দণ্ডিত মো. আল আমিন (২০) দেবিদ্বার উপজেলার পৌরসভার এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার (১১ জুন) গভীর রাতে দেবিদ্বার থানার এস আই মিশন বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কুমিল্লা শহরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। বুধবার (১২ জুন) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে গত ১৬ মে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন আল আমিনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩ মার্চ রাতে আসামি আল আমিনসহ আরও কয়েকজন মিলে আনোয়ারা বেগমকে মারধর ও বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত নারী একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।
এ ঘটনায় পরদিন ৪ মার্চ নিহতের মেয়ে উম্মে সালমা খাতুন অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) আনোয়ার উল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে সোপর্দ করলে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর কয়েক বছর পর আল আমিন জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যায়। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, ২০১০ সালের ৩ মার্চ রাতে ভিংলাবাড়ি এলাকায় এক নারীকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আল আমিনকে কুমিল্লা শহর থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন