লালমনিরহাট ও হাতিবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি

উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি : কালবেলা
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি : কালবেলা

উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পায় তিস্তার পানি। তবে এখনও ডুবে আছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিপ্রবাহ কমে একই পয়েন্টে দুপুর ১২টায় থেকে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার মাত্র ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে, ডুবে যায় উঠতি ফসলি জমি।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর তিস্তায় সেই পানি প্রবেশ করায় নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। তবে সেই পানি এখন নেমে যাচ্ছে।

জানা গেছে, তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে।

এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করে। তবে পানি আবার নেমে যেতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরে এসেছে কৃষকদের মাঝে।

সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা বাগডোরা এলাকার কৃষক হজরত আলী জানান, ভারতে বন্যা হয়েছে। ওই পানি যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে ছাড়ে তখন আমাদের একালায় বন্যা দেখা দেবে। এতে অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না, এখন বর্ষাকালে আমরা পানি দিয়ে কী করব! তিস্তা গোবর্ধন চরের কৃষক কেরামত আলী জানান, প্রতি বছর বর্ষাকালে বন্যা আর নদীভাঙনের শিকার হয়ে আমরা এখন দিশাহারা। প্রায় প্রতি বছরই বাড়ি সরাতে হয়। এখন আর আমরা কোনো সহযোগিতা চাই না, আমরা চাই চিরস্থায়ী বাঁধ। যাতে আমাদের আর বাড়ি সরাতে না হয়।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে আমাদের বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে হাজির হাসিনার ১৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, ৬০০ ফুট খাদে গাড়ি পড়ে নিহত ৬

আমি একা থাকতে দারুণ উপভোগ করি: অক্ষয় খান্না

মারা গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া ২ কর্মচারীকে শোকজ

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কাতর্কির কারণ জানালেন ময়মনসিংহের ডাক্তার

সংঘর্ষের পর কম্বোডিয়ায় বিমান হামলা চালাল থাইল্যান্ড

২ জেলায় নিয়োগ দিচ্ছে টিআইবি

দেশের বাজারে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

বায়ুদূষণে ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ ঢাকা

১০

বিএনপিতে যোগ দিলেন আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মী

১১

কিছু সহজ টিপসে ঘর থাকবে ঝকঝকে ও পোকামাকড়মুক্ত

১২

হোয়াইট হাউসে ইসরায়েল-কাতারের গোপন বৈঠক

১৩

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১ কোটি ১২ লাখ ডলার দেবে যুক্তরাজ্য-কাতার

১৪

ডলার ও অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার আজকের বিনিময় হার

১৫

বরিশাল মুক্ত দিবস আজ / ওয়াপদা কলোনির টর্চার সেল গণহত্যার নীরব সাক্ষী

১৬

শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে ১৮ ডিগ্রিতে

১৭

আজ রাজধানীর কোথায় কী

১৮

আজ থেকে বাড়তি দামে বিক্রি হবে ভোজ্যতেল, লিটারে কত

১৯

শৈত্যপ্রবাহ বইছে তেঁতুলিয়ায়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে

২০
X