লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তিস্তার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙন

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাঙন শুরু হয়েছে। ছবি : কালবেলা
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাঙন শুরু হয়েছে। ছবি : কালবেলা

উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এদিকে বন্যার পানি নেমে গেলেও প্লাবিত এলাকার কাঁচা সড়ক ও ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়া, চন্ডিমারী ও সদর উপজেলার কালমাটি ও বাগডোরা এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ওইসব এলাকার বসতভিটা, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গত শুক্রবার তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে গত ৪দিনেই সেই পানি নেমে যায়। পানি থেকে জেগে উঠা পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তিস্তা পাড়ের কৃষকরা। এদিকে স্বপ্ন মেয়াদি এ বন্যার পানি দ্রুত কমতে থাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।

তিস্তা গরীবুল্লাহ পাড়ার কৃষক কেরামত আলী জানান, গত ৪দিন থেকে বাড়ি-ঘরে পানি ছিলো। এখন বাড়ি ঘরে পানি নেই। কিন্তু ঘরে বাইরে জমে আছে কাদা মাটি। চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।

একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, পানি কমে গেছে। তবে নদীর তীরে শুরু হয়েছে ভাঙন। ভাঙন ঠেকানো না গেলে অনেক বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হবে।

ওই এলাকার হোসেন আলী জানান, বন্যার আগে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে ছিল তিস্তা। ভাঙতে ভাঙতে ফসলি জমি নদীর পেটে চলে গেছে। তিস্তা এখন বাড়ির কিনারায়।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি এলাকার আব্দুর রহমান জানান, বসতবাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে না যেতেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। তিস্তার পেটে আবাদি জমি। এখন বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার মতো জমিও নেই।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী গরীবুল্লাহ পাড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। কয়েকশত বাড়ি ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এমকেএম তাহমিদুল ইসলাম লালমনিরহাটের তিস্তা নদী ভাঙন এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিস্তার ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এসিআই-এ নিয়োগ, আবেদন করুন অনলাইনে

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

বসতভিটা ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি, সন্তানের বিরুদ্ধে বাবার মামলা

ব্রাজিলের মন্ত্রীর মার্কিন ভিসা বাতিল, দায়িত্বজ্ঞানহীন বললেন লুলা

ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ, কী বললেন প্রক্টর

শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক

২৭ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২৭ আগস্ট : টিভিতে আজকের খেলা 

আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ

২৭ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১১

কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান কিটোনকে সংবর্ধনা দিল এ্যাব

১২

মাছ ধরার নৌকায় মিলল সাড়ে ৪ লাখ পিস ইয়াবা, আটক ৯

১৩

ভোলায় নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল / এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

১৪

যৌথ বাহিনীর অভিযানে অনলাইন জুয়া চক্রের ২ সদস্য আটক

১৫

জেলেরা হেলমেট পরে মাছ ধরেন যেখানে

১৬

বিমানবাহিনীর আন্তঃঘাঁটি স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

১৭

স্পেনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১৮

কারাগারে সন্তান জন্ম দিলেন হত্যা মামলার আসামি

১৯

সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

২০
X