মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে সরানো হলো র‌্যাবকে

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি । ছবি : সংগৃহীত
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি । ছবি : সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদেন্তর দায়িত্বে থাকা র‌্যাবকে সরিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের এই আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গতকাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রোববার সাগর-রুনি হত্যা মামলার বাদী নওশের রোমান বলেন, এখন থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে আইনি লড়াই করবেন।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করবো। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করবো। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করবো।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।

তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ (৫) সে সময় বাড়িতে ছিল। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।

মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আছেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম মামলার সপ্তম তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

একাত্তরে ভুল করেছেন, এখনো ভুলের রাজনীতিতে আছেন : টুকু

দুই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার সাকিব ও সিকান্দারকে ‘এক’ করলেন জুলফিকার!

বিএনপিকে এনসিপির শুভেচ্ছা / ‘আমরা তর্কবিতর্ক করব কিন্তু পারস্পরিক সৌহার্দ্য থাকবে’

পুরো সেপ্টেম্বরের পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া অফিস

নদীতে জাল ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলা, জেলের মৃত্যু

ক্ষমা চাইলেন রিটকারীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া সেই শিক্ষার্থী

আহত চবি শিক্ষার্থীদের দেখতে চমেকে শাহজাহান চৌধুরী

জাঁকজমক আয়োজনে রুয়েটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

বাঁকখালী নদী উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

১০

আনাসসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিএফইউজে-ডিইউজের নিন্দা 

১১

ক্যানসারে আক্রান্ত সাংবাদিক মেহেদী বাঁচতে চান

১২

বুকে রড ঢুকিয়ে যুবককে হত্যা

১৩

মব সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে : বুলু

১৪

ইসরায়েলের তেলবাহী ট্যাংকারে ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫

নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহে ওয়াসাকে আহ্বান চসিক মেয়রের

১৬

স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ল, ২২ ক্যারেট কত?

১৭

‘দেশের স্বাধীনতা ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম জেনারেল ওসমানী’

১৮

স্পেনের বিপক্ষে ফিনালিসিমার তারিখ নিয়ে ক্ষুব্ধ স্কালোনি

১৯

ডাকসুতে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের এজিএস প্রার্থী চট্টগ্রামের জাহেদ

২০
X