কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে সরানো হলো র‌্যাবকে

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি । ছবি : সংগৃহীত
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি । ছবি : সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদেন্তর দায়িত্বে থাকা র‌্যাবকে সরিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের এই আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গতকাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রোববার সাগর-রুনি হত্যা মামলার বাদী নওশের রোমান বলেন, এখন থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে আইনি লড়াই করবেন।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করবো। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করবো। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করবো।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।

তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ (৫) সে সময় বাড়িতে ছিল। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল।

মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আছেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম মামলার সপ্তম তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় ধুলা নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো সয়েল’ কর্মসূচি উদ্বোধন

বেবিচক চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার

আরব আমিরাতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

ভুয়া সনদে সভাপতি হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

ঢাবিতে ইউনেস্কো চেয়ার : ১২৫টি দেশের সঙ্গে একাডেমিক সংযোগ

তুষারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে যা লিখেছেন নীলা

বাংলাদেশে সিএমএদের আর্থিক অডিট কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির দাবি : যৌক্তিক না কি সীমা অতিক্রম?

‘সংস্কার কাজে আলোচনার চেয়ে খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে’

অর্জুনের জন্মদিনে মালাইকার ভালোবাসার বার্তা

হৃদয় ভঙ্গের পর বুঝতে পেরেছি, যাকে খুঁজছিলাম তার অস্তিত্বই নেই : শবনম ফারিয়া

১০

‘ধর্ষণের’ পর কিশোরীকে নদীর পাড়ে ফেলে গেল প্রেমিক

১১

আহত ইরানিদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা মোসাদের

১২

দেশে বড় বিদেশি বিনিয়োগ আনছে দেশবন্ধু গ্রুপ

১৩

সবুজ শিল্পায়নের পথে অগ্রসর বাংলাদেশ, ইকো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কার্যক্রমের সূচনা

১৪

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস, ‘পরিষ্কার যুক্তি, প্রতিরোধে মুক্তি’

১৫

জুলাই সনদ চূড়ান্তের পর নির্বাচনী রোডম্যাপ দিতে হবে : খেলাফত মজলিস

১৬

আশুলিয়ায় হানি ট্র্যাপ চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

১৭

মব ও প্রেশার গ্রুপ নিয়ে প্রেস সচিবের ব্যাখ্যা

১৮

যুদ্ধবিরতির পর খামেনির প্রথম বার্তা, বিজয়ের ঘোষণা

১৯

‘রিভলবার দিয়ে আমাকে মেরে ফেলুন’ কাঠগড়ায় পিপিকে বললেন হাবিবুল

২০
X