বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি আমলে গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ আদেশ দেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়ে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘আজকে মামলাটির চার্জশিট আমলে গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। বিচারক চার্জশিট আমলে না নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত বছরের ২৬ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে গত ২২ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী বিমানের ডিজিএম (সিকিউরিটি) মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গত ১৮ জুলাই মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়।
আরও পড়ুন : ‘জাতিসংঘও ড. ইউনূসের মামলার বিচার পর্যবেক্ষণ করছে’
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিমানের সিডিউলিং সুপারভাইজর মাহবুব আলম শরীফ, সিকিউরিটি গার্ড আইউব উদ্দিন, এমটি অপারেটর মহসিন আলী, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এনামুল হক, মাহফুজুল আলম, ট্রাফিক হেলপার আল আমিন, আ. মালেক, আলমগীর হোসেন, গাড়িচালক আব্দুল্লাহ শেখ, সাজ্জাদুল ইসলাম, এমএলএসএস তাপস কুমার মণ্ডল, জাহিদ হাসান, হারুন অর রশিদ, সমাজু ওরফে সোবাহান, জাকির হোসেন, বিএফসিসি অপারেটর সুলতান হোসেন, মুরাদ শেখ ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ বেতারের গাড়ি চালক ফারুক হোসেন, জুয়েল মিয়া, রাজিব মোল্লা, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন।
মন্তব্য করুন