কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২১ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডেসটিনির এমডি রফিকুলসহ ১৯ জনের ১২ বছর কারাদণ্ড

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

অন্য আসামিরা হলেন- ডেসটিনির পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো.সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, মিসেস ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।

এর আগে, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রাহকের দুই হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরকার বাদী হয়ে ঢাকার কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (ডিএমসিএসএল) মামলায় আসামিরা নিজেরা লাভবান হতে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে আট লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এ সময় ঋণ প্রদান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পরবর্তী সময়ে আসামিরা লভ্যাংশ, সম্মানি ও বেতন-ভাতার নামে সরিয়ে নিয়েছেন। অপরদিকে ২০০৬ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে গাছ বিক্রির নামে ডেসটিনি ট্রি-প্লান্টেশন লিমিটেডের (ডিটিপিএল) জন্য দুই হাজার কোটিরও বেশি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার। তদন্তে আরও সাতজনের নাম আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট মামলাটির অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলায় বিচার চলাকালে ১৪০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘মানবতাবিরোধী আসামি বিরত থাকলে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব’

পাবিপ্রবি ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালিত

দিল্লির পদক্ষেপে নজর রাখছে ঢাকা

শেখ মুজিবকে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক্সে পোস্ট করেছে কি?

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

দ্বিতীয় দিনেও জ্বলছে তোফায়েল আহমদের বাড়ি, চলছে লুটপাট 

ভারতে আবারও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কী সুখবর দিলেন সিনিয়র সচিব

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শহীদদের স্মরণে জবি শিবিরের দোয়া মাহফিল

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘ধানমন্ডি ৩২’

১০

ইয়ামাহা শোরুম রুবেল এক্সপ্রেস পরিদর্শন করেছেন খুলনা টাইগার্সের খেলোয়াড়রা

১১

রাতে একসঙ্গে মদপান, সকালে ৩ জনের মৃত্যু

১২

শেখ হাসিনা ভারতে বসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন : মেজর হাফিজ

১৩

ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ

১৪

ট্রাম্পের গাজা দখলের ঘোষণায় জামায়াতের নিন্দা

১৫

এই সময় শিশুদের স্বাস্থ্য সমস্যা ও করণীয়

১৬

হাসিনার মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিবাদ

১৭

৩২ নম্বরে ভাঙচুরের কারণ জানাল সরকার

১৮

গাজায় দুর্ঘটনায় ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত, আহত ৮

১৯

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব

২০
X