মানহানির মামলায় দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেননি আদালত। বুধবার (১৬ আগস্ট) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করেন।
আদালতে করা অভিযোগে একেএম আফজালুর রহমান বাবু যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনকে এক নম্বর এবং যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমকে দুই নম্বর আসামি করে মানহানির মামলা করেন।
আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। তবে যুগান্তর সাইফুল আলমকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ আগস্ট মামলার বাদী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য কক্সবাজারে যান। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে এসএমই কর্পোরেশনের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি। সেখানে কারও সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তা সত্ত্বেও ১০ আগস্ট ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুর কাণ্ড : কক্সবাজারে শত কোটি টাকার জমি দখল’ শিরোনামে প্রতিবেদন পত্রিকায় ছাপা হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদকের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়, যা দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিতও হয়। এরপরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার অনলাইন ভার্সন থেকে নিউজটি রিমুভ করে দেওয়া হয়। কিন্তু মূল পত্রিকায় এ সম্পর্কিত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় বাদী সংবাদের কপি নিয়ে কলাবাগান থানায় মামলা করতে যান। থানা মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন