কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফুটবলার মোরসালিনের বিয়ে বিচ্ছেদ, ৮ লাখ টাকায় স্ত্রীর মামলা প্রত্যাহার

শেখ মোরসালিন ও সেঁজুতি বিনতে সোহেল। ছবি : কালবেলা
শেখ মোরসালিন ও সেঁজুতি বিনতে সোহেল। ছবি : কালবেলা

বিয়ে বিচ্ছেদ হলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় শেখ মোরসালিনের। ৮ লাখ টাকা দেনমোহর পরিশোধে তার বিরুদ্ধে করা যৌতুকের মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্ত্রী সেঁজুতি বিনতে সোহেল।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহর আদালতে সেঁজুতি আপস হয়েছে জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এবিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব জানান, ‘মোরসালিন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নক্ষত্র। দুই পক্ষের অনুরোধে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়। তারই ফলশ্রুতিতে আজ আদালতে উভয় পক্ষ হাজির হয়, আপোষনামা দাখিল করেন। আদালত তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহন করেন। মামলা প্রত্যাহারের আদেশ প্রদান করেন।

জানা গেছে, ৮ লাখ টাকা দেহমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মোরসালিন এবং সেঁজুতি। দেনমোহরের ৮ লাখ টাকার মধ্যে আজ সেঁজুতিকে নগদ ৬ লাখ টাকা দেন মোরসালিন। দুই লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে যা আগামি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নগদায়ন করবেন মর্মে আপোসনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মোরসালিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সেঁজুতি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বৈবাহিক জীবনের সুখ, শান্তি ঠিক রাখতে চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন মোরসালিন। বিয়ের পর থেকে সেঁজুতি আসামির প্রকৃত চেহারা, পরধন লোভী, পরনারীতে আসক্ত তা বুঝতে পারেন। আসামি যৌতুক দাবি করে বারবার সেঁজুতিকে মানসিক চাপ দেন এবং বলেন বাবার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ টাকা আসামির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। এরপর বাদী অনুনয়, বিনয় করে মোরসালিনকে বুঝানোর চেষ্টা করেন, তার পিতা-মাতার যা সাধ্য ছিল তা বিয়ের সময় খরচ করেছেন। পিতা-মাতার মাথা গোজার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিলে তাদের পথে বসতে হবে।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, শতবার বুঝানোর চেষ্টা করা হলেও মোরসালিন তা না বুঝে পক্ষান্তরে সেঁজুতিকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। পরে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। এতে সেঁজুতি উপায়ান্তর না পেয়ে তার পিতা-মাতার বাসায় চলে আসেন।

২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার সময় মোরসালিন তার স্ত্রীর বাসায় যান। এসময় সেঁজুতি মোরসালিনের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে যান। তখন মোরসালন জানান, ‘আমি খাবার খেতে আসিনি। ২০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য এসেছি।’ সেঁজুতির পিতা-মাতা আসামিকে অনুরোধ করেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার মত সামর্থ তাদের নেই। তখন মোরসালিন তার স্ত্রী সেঁজুতি ও তার পিতা-মাতাকে গালাগাল ও হুমকিধমকি দিতে থাকেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্কবার্তা আবহাওয়া অধিদপ্তরের

বনাঞ্চল উজাড় করে মাছের ঘের

সরকার-নির্বাচন কমিশন চাইলে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে : মঈন খান

শঙ্খের ভাঙনে বিলীন ধানি জমি, আতঙ্কে উপকূলবাসীরা

টোকিওর হোটেলগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

পাক-ভারত উত্তেজনায় আইপিএল স্থগিত

গাছের ‘তেলে’ দৌড়াল ইঞ্জিন

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মঞ্চে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

ক্ষেপণাস্ত্র চালাল উত্তর কোরিয়া

জবি ম্যাথ ক্লাবের দায়িত্বে সিফাত ও নয়ন  

১০

পরোয়ানা নিয়ে সাজেদুলের বাড়ি যাওয়া এসআই প্রত্যাহার

১১

যুদ্ধ পাকিস্তান শুরু করেছে দাবি শেবাগের

১২

যমুনার চরে ফসলের বিপ্লব

১৩

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এখন জিয়া মঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ পদে

১৪

রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিটে’ খেপেছে যুক্তরাজ্য

১৫

৩০ ভারতীয় কামিকাজে ড্রোন ভূপাতিত, নিহত ২

১৬

বোমা আতঙ্কে কাঁপছিলেন আইপিএল চিয়ারলিডার, ভিডিও ভাইরাল

১৭

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ 

১৮

ভয়ে ভারত ছাড়তে চাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা

১৯

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো পিএসএল

২০
X