মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চারটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে।
এই পর্যবেক্ষণগুলো দেশের বিচারব্যবস্থা- বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত মামলার প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
১. মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে অতীতের রায়গুলোতে বাংলাদেশসহ এই সাবকন্টিনেন্টে ক্রিমিনাল বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি চেইঞ্জ করে দেওয়া হয়েছিল, এটা ছিল সবচাইতে বড় ভুল।
২. আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেসমেন্ট করা ছাড়াই এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল।
৩. পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি travesty of truth অর্থাৎ বিচারের নামে অবিচার।
৪. যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছিল, অতীতের আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, জামায়াতের ঢাকা উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, মাসুদ সাঈদী, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন