সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. ফয়সাল বিপ্লবের মামলার শুনানি শেষে আদালতে প্রকাশ্যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেখা গেছে। এসময় স্লোগানকারীদের ধাওয়া দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে তোলা হয়। এরপর শুনানি শেষে নুরুল হুদার ৪ দিনের রিমান্ড ও সাবেক দুই এমপি তুহিন-বিপ্লবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এরপর বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটের দিকে তাদের পুলিশি কড়া নিরাপত্তা দিয়ে সিএমএম ভবনের তিন তালা থেকে নিচে নামিয়ে হাজতখানায় নেয়া হচ্ছিল। এজলাসের বাইরে আসামিদের নিয়ে যাওয়ার সময় ১০-১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তাদের মুখে মাস্ক ও হাতে মোবাইল ধরে আসামিদের ভিডিও করতে দেখা যায়। তারা সিঁড়ি দিয়ে একতালা পর্যন্ত স্লোগান দিতে দিতে নামেন। আসামি বিপ্লবের নামেও স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
পরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা স্লোগানকারীদের ধাক্কা ও কিল ঘুষি মারতে থাকেন। পরে স্লোগানকারীরা ছত্র ভঙ্গ হতে থাকেন। একেবারে নিচতলায় সিঁড়ির সামনে আইনজীবীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন দৌড়ে পালাতে থাকেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে রাস্তা দিয়ে না নামিয়ে পুলিশ সদস্যরা নিচতলা থেকে আদালত ভবনের ভিতর দিয়ে বিকল্প পথে আসামিদের নিয়ে যান।
অন্যদিকে স্লোগানকারীদের কয়েকজনকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পেছনে কয়েকজন বিএনপির কয়েকজন আইনজীবী ধাওয়া দেন।
ধাওয়া দেওয়া বিএনপিপন্থি আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আদালতের পরিবেশ অস্থিতিশীল করতেই পরিকল্পিতভাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। এরপর তাদের ধরতে ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যান। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও জোরালো ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করি।
মন্তব্য করুন