রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় মামলায় আরও ৩ আসামি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা হলেন- তারেক রহমান রবিন, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু।
বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকার পৃথক ৩টি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন রিমান্ড শেষে রবিন, নান্নু ও রিজওয়ানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে আবেদন করেন।
পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আসামি নান্নুর, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান আসামি রবিন ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান আসামি রিজওয়ানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এছাড়া এদিন তদন্তে গ্রেপ্তার মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালত।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ আসামি। তারা হলেন— মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব বেপারি, মো. রাজিব বেপারি, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু, মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই আসামি সজীব ও ২০ জুলাই মহিন আদালতে হত্যা মামলায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এদিকে মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ অস্ত্র মামলা দায়ের করে।
মন্তব্য করুন