পল্টন মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবু, ২৭নং ওয়ার্ডের (তেজগাঁও) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হোসেন ওরফে বুলবুল এবং সাতক্ষীরার আসাসুনি উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ওরফে ডালিমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামান এ আদেশ দেন।
পল্টন মডেল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রুকনুজ্জামান জানান, তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। তাদের পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন ফারজানা ইয়াসমিন রাখী।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে কলুষিত করার জন্য এবং সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্নিত, ক্ষতিসাধনের জন্য এবং ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ৫০/৬০ জন সকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানে সমবেত হয়ে মিছিল করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। তাদের মিছিলের স্লোগান শুনে ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রমে পুলিশ বুঝতে পারে, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক।
তারা একত্রিত হয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য ও বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর জন্য সরকারবিবোধী স্লোগান প্রদান ও সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টা করছিল। তারা প্রচলিত সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অমান্য করে যে কোনো বড় ধরনের আঘাত ঘটাতে পারে। গণজমায়েত হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা দেশের সর্বভৌমত্বকে আঘাত ও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সমর্থক হিসেবে একত্রিতভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্য সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও ক্ষতি সাধনের যড়যন্ত্র এবং ধংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে মিলিত হয়েছিল বলে মামলায় অভিযোগ পুলিশের।
মন্তব্য করুন