রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার করা বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার এই বিএনপি নেতাকে শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাজনৈতিক সহিংসতার মামলায় আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীর জামিন আবেদন খারিজ করে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তার আগে শুক্রবার রাতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমলাপুরে প্রবেশের সময় ট্রেনের একটি কামরায় আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। এতে যাত্রীরা যে যেভাবে পারেন কামরা থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় এক যুবক আগুনে আটকা পড়েন। তিনি বেশ কিছুক্ষণ আগুনের ভেতরেই দৌড়ঝাঁপ করে বাঁচার চেষ্টা চালান। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেননি।
আগুনের এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ ৮ জনের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এক ব্রিফিংয়ে জানান, ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় কাজী মনসুর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, যুবদলের কয়েকজন নেতা ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে আগুন লাগানোর জন্য লালবাগ এলাকার কয়েকজন দাগী আসামিকে দায়িত্ব দেন। এই ঘটনায় অর্থ সহায়তা এবং পরিকল্পনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী।
মন্তব্য করুন