মাসুদ রানা
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৭ এএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ
৩৫ বছর পর রায় আজ

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়ে ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা রাষ্ট্রের

সগিরা মোর্শেদ। ছবি : সংগৃহীত
সগিরা মোর্শেদ। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৫ বছর আগে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সগিরা মোর্শেদ। এ ঘটনার ৩০ বছর পর সগিরার ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পিবিআই। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রতীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এ মামলার রায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আসামিপক্ষের দাবি রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আসামিরা বেকসুর খালাস পাবেন।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায় মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলায় ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা। তারা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। চুক্তিকৃত ২৫ হাজার টাকার মধ্যে হাসান আলী মারুফ রেজাকে ১৫ হাজার টাকা দেন। ১০ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা বললেও তিনি আর তাকে সেই টাকা দেননি।

এ বিষয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলি রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। রায়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যে অভিযোগ এনেছেন তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সকল সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে আমরা প্রত্যাশা করছি আসামিরা খালাস পাবেন। আদালতের কাছে আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় নারীর গলাকাটা মরদেহ

মাথায় গুলি ঠেকিয়ে প্রকাশ্যে বিপুল টাকা ছিনতাই

কমেছে স্বর্ণের দাম, কত টাকা ভরি আজ

স্ত্রী অল্পতেই রাগছেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ 

টাঙ্গুয়ার হাওরে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড

৪ স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

রোজা কবে শুরু হতে পারে, জানাল আমিরাত

‘মহান এই নায়ককে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত’

ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস

পুকুরে দেখা মিলল কুমিরের

১০

শিক্ষকের ভুলে পরীক্ষা দেওয়া হলো না দুই শিক্ষার্থীর

১১

সন্ধ্যায় জানা যাবে পবিত্র আশুরার ছুটি কবে

১২

দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমান ভারতে নেমেছিল কেন

১৩

বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ

১৪

সন্তান কান্না করায় গলা কাটলেন পাষণ্ড বাবা

১৫

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সর্বশেষ ঘটনাবলি

১৬

ফেসবুকে প্রেমিকাকে ভালোবাসি লিখে ছাদ থেকে শিক্ষার্থীর লাফ

১৭

এইচএসসি পরীক্ষা আজ, অংশ নিচ্ছেন ১২ লাখ শিক্ষার্থী

১৮

২৬ জুন : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৯

গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহতা আরও বাড়ছে

২০
X